অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় জামিন পেয়েও জামিননামা দাখিল না করায় কারাগার থেকে আপাতত বের হতে পারছেন না মডেল ইমা।জামিন পেলেও ছাড়া পাচ্ছেন না ইমা
গত ২৪ জুন ওয়ারী থানায় দায়ের করা এ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন ইমা। এর পর দিন জামিন বাতিল করে দেন বিচারক। গত ১১ জুন ওয়ারী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ইমাকে। ওই দিন তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাদের অনুমতি দেন বিচারক। পরে গত ১৬ জুন ইমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেলগেটে মডেল ইমাকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এর আগে গুলশান থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ইমাকে দুই দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল পুলিশ। গত ১৭ জুন ওয়ারী থানার মামলায় ইমাকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ জুন ইমাকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মডেল ইমা একজন প্রতারক। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাকে জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যাবেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবিন চন্দ্র মাহাতো এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতারণার অভিযোগে ওয়ারী থানায় দায়ের করা মামলায় ইমাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। ভিওআইপি লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মডেল ইমা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১১ সালের ১১ মার্চ ওয়ারী থানার র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সিলভার ডেন স্কুলের সামনে এ টাকার লেনদেন হয়। টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকায় গত ১১ জুন মডেল ইমা, তার ভাই তানভীর ও বাবা আলমগীরের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় মামলা করে প্রতারিত যুবক মনিরুল। আসামি তানভীর ও আলমগীর পলাতক রয়েছেন।