ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের(ডিএসসিসি)হকার্স মার্কেটের দোকান নামে-বেনামে বরাদ্দ দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করে অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধ্যানে এসব তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ডিসিসির এসব কর্মকর্তারা হলেন, সার্ভেয়ার আব্দুল মোতালেব হোসেন, ফারুক হোসেন ও মহসিন উদ্দিন মোড়ল। আগামী রোববার তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হবে দুদকের বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। ডিসিসির প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এফএনএসকে জানান, গত সপ্তাহের দুদকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সম্পদের হিসাব চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নথি নং-স্টেট ২৫২৫ তে সার্ভেয়ার আব্দুল মোতালেব, ফারুক হোসেন ও সম্পত্তি কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন মোড়ল পরস্পর যোগসাজশে নোটশিটে পূর্বের গৃহীত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং তিনটি স্থানের পরিবর্তে একটি স্থানে দোকান বরাদ্দের বিষয় উল্লেখ করা হয়। ফাইলে ৩ জন সার্ভেয়ারের স্মাক্ষর থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ২ জনের স্বাক্ষর। এছাড়া কানুনগোর লেখা নোট মুছে নতুন লেখা বসিয়ে নিজেরা লাভবান অথবা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যেই এ অপকর্মগুলো করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ডিসিসিতে একটি দুর্নীতিবাজ চক্র বহুদিন যাবত এসব কাজের সাথে সক্রিয় রয়েছে। দুদক দীর্ঘদিন যাবত তাদের শনাক্ত করার চেষ্টায়ছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এ চক্রের তিন জনকে দুর্নীতিবাজ হিসাবে সনাক্ত করা হয়। এসব ব্যক্তিরা রাজধানীর গুলিস্তান হর্কাস মার্কেটের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলার খালি জায়গা (যেমন-সিঁড়ির নিচ, করিডোরের ফাঁকা স্থান) বেশ কিছুসংখ্যক দোকান নিজেরা ভোগদখল করে আসছে। কিছু দোকান ভুয়া নাম ব্যবহার করে মূলত নিজেদের নামে বরাদ্দ নিয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সরকারের ক্ষতি করে অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি মাধ্যমে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কমিশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার অন্তরালে আরো উচ্চ পর্যায়ের কেউ জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলা তদন্তকালে তা বেড়য়ে আসবে।