আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার আগে বিসিবি সভাপতি শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪ সালের আয়োজন ছুটে যাওয়ার। বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে দেশে ফিরেই জানিয়েছিলেন, টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশেই হবে। সভাশেষে আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে বাংলাদেশে। কিন্তু গত পরশু ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, টি-২০ বিশ্বকাপ ভারতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদ প্রকাশিত হয় আইসিসির সাবেক সভাপতি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি জাগমোহন ডালমিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে। এমন সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় পড়ে এদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। তবে বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী আশ্বস্ত করেছেন, শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বাংলাদেশেই বসবে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় আট (২০১৫-২০২৩) বছরের যে পরিকল্পনা করেছে আইসিসি, তাতে ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। আর ২০১৪ সালের আয়োজক বাংলাদেশ। যদিও সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম এবং কঙ্বাজার স্টেডিয়ামের কার্যক্রম নিয়ে আইসিসির পরিদর্শকরা সন্তুষ্ট নন। কার্যক্রম দ্রুতগতিতে শেষ করার জন্য আগস্ট মাসকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। এই ডেডলাইনকে বেঞ্চমার্ক ধরে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে দুই স্টেডিয়ামের। অবশ্য নির্ধারিত সময়ে যদি দুই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ নাও হয়, তাতেও ভীত নয় বিসিবি। কেননা আইসিসিকে ইতোমধ্যে দুটি বিকল্প ভেন্যুর কথা জানিয়ে রেখেছে বিসিবি। বিকল্প ভেন্যু দুটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম ও বিকেএসপি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে এই দুই ভেন্যুর। তাই দৃঢ় কণ্ঠেই বলেছেন বিসিবি সিইও, ‘আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় আমরা দুটি বিকল্প ভেন্যুর কথা জানিয়েছি। এ জন্যই আমরা চিন্তিত নই। আইসিসির সভা শেষে আমাদেরকে বিশ্বকাপের আয়োজন পরিবর্তন হতে পারে, এমন কোনো কিছু জানানো হয়নি। আমরা জানি আমাদের এখানেই টি-২০ বিশ্বকাপ হবে।’ অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি মিডিয়ার কাছে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমরা চাই না বাংলাদেশ থেকে টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন ছুটে যাক। তবে আমরা আয়োজক হতে প্রস্তুত।’