আর এক দিন পরেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণাও শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টায়। শেষ মুহূর্তে এসে গতকাল বুধবার তাই ১৪ দল ও ১৮ দল-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী এবং তাঁদের জোটের নেতারা ব্যস্ত ছিলেন ভোটারদের নিজের দিকে টানতে।
এ জন্য তাঁরা যেমন নিজেদের গুণকীর্তন করছেন, তেমনি পরস্পরের বিরুদ্ধেও পাল্টাপাল্টি প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ জন্য গণসংযোগ ও সংবাদ সমেঞ্চলন করা এবং লিফলেটও ছড়ানো হচ্ছে।
বিএনপিসহ ১৮ দল-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী এম এ মান্নান গতকাল সকালে গাজীপুর সদরের নাওজোড় থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত পোশাক তৈরির বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে ভোট চান। এর আগে তিনি চান্দনা চৌরাস্তায় নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিতে আওয়ামী লীগ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাঁকে বলা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ। তিনি নাকি কর দেন না। এ সবই ষড়যন্ত্র।
মান্নানের পক্ষে ভোট চেয়ে গতকাল দুপুরে যৌথ সংবাদ সমেঞ্চলন করে জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও হেফাজত। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মান্নানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আ স ম হান্নান শাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সমেঞ্চলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আহমাদ উল্লাহ আশরাফ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) ও জেলা সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। সংবাদ সমেঞ্চলন শেষে তাঁরা বোর্ডবাজার ও টঙ্গী অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চান।
অন্যদিকে আজমত উল্লা খান গতকাল টঙ্গীর পাগাড়, ঝিনু মার্কেট, স্টেশন রোড, নিরাশপাড়া, ফকির মার্কেট, হাজী মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘হজের টাকা নিয়ে যিনি (এম এ মান্নান) অনিয়ম করেন, সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব তাঁর কাছে নিরাপদ নয়। ১৮ বছর সুনামের সঙ্গে আমি আপনাদের সেবা করেছি। আমাকে সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করলে সততার সঙ্গে নগরের উন্নয়ন অব্যাহত রাখব।’
আজমত উল্লা বলেন, ‘আমার পক্ষে জনমত দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা এখন আবোল-তাবোল বলছে।’
গত কয়েক দিনের মতো গতকালও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুসহ অর্ধশত কেন্দ্রীয় নেতা আজমত উল্লার পক্ষে গাজীপুর ও টঙ্গীতে গণসংযোগ করেন।