সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার। সংস্থাটির লিখিত প্রতিবাদ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
জাতীয় সংসদে ২৬ জুন ২০১৩ গ্রামীণ ব্যাংক ও প্রফেসর ইউনূসের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের মানুষ অবাক হয়েছে। দেশের অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংসদে দাঁড়িয়ে এধরনের মিথ্যা তথ্য কেউ আশা করে না। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হলো।
১.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: গ্রামীণ সামাজিক ব্যবসার প্রতিষ্ঠানগুলো সবই ইউনূসের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান।
জবাব: বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামীণ নামধারী সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। প্রফেসর ইউনূস বিভিন্ন সময়ে পত্র পত্রিকার মারফৎ বহুবার বলেছেন কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তাঁর ব্যক্তিগত একটি শেয়ারও নেই। মাননীয় অর্থমন্ত্রী যদি একটি কোম্পানিও দেখাতে পারেন যেখানে ড. ইউনূসের এক বা একাধিক ব্যক্তিগত শেয়ার আছে, তাহলে মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদ করার আর কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। যদি তা দেখাতে না পারেন, তাহলে সংসদে একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত হবে।
২.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ড. ইউনূস গ্রামীণফোন থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ড নিয়েছেন।
জবাব: যে প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের কোনো শেয়ার নেই, এমন কি স্টক মার্কেট থেকে কেনা শেয়ারও নেই, সেখান থেকে ড. ইউনূস কীভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ড নিলেন সেটা মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে সংসদের কাছে এবং তার মাধ্যমে জাতির কাছে ব্যাখ্যা করে বলতে হবে। অথবা মিথ্যা বলার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
৩.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ইউনূস সাহেবের কোম্পানিগুলোর পরিচালক ছিলেন তাঁর তিন ভাই। বাকি কয়েকজন উনি নিয়োগ করেন, যাঁরা লভ্যাংশ নেন না।
জবাব: ড. ইউনূসের মাত্র দুই ভাই ঢাকাতে থাকেন। তাঁরা হলেন- প্রফেসর মুহাম্মদ ইব্রাহীম এবং মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ড. ইউনূসের কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রফেসর ইব্রাহীম তাঁর নিজস্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কারণে চারটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সদস্য। এই চারটি প্রতিষ্ঠানই মুনাফাবিহীন স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এতে পরিচালনা পর্ষদের কারো আর্থিক সুবিধা পাবার কোনো উপায় নেই।
প্রফেসর ইউনূসের অন্য কোনো ভাই গ্রামীণ নামধারী কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত নন।
৪.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ইউনূস সাহেব সময় দিতে পারতেন না। বোর্ড সভা হতো না, সিদ্ধান্ত হতো না।
জবাব: প্রফেসর ইউনূসের আমলে প্রতিবছর গ্রামীণ ব্যাংকের যতটা বোর্ড সভা হয়েছে, তাঁর গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়ার পরেও প্রতিবছর সে ক’টা বোর্ড মিটিং-ই হয়েছে। প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ে আগে যে পরিমাণ সময় ব্যয় হতো, এখনো তাই ব্যয় হয়।
৫.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ইউনূস সাহেব বেআইনিভাবে এমডি। ইউনূস সাহেবের আইনে বলা আছে ৬০ বছরে রিটায়ার করবে। বোর্ড বললো ইউনূস সাহেবকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এমডি করা হোক। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি বছর অডিট করার সময় এটা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে ৬০ বছর হয়েছে বলে আর থাকতে পারবেন না।
জবাব: বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ১৯৯৯ সালে ড. ইউনূসের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবার আগে জুলাই, ১৯৯৯ মাসে পরিচালনা পর্ষদের ৫২তম বোর্ড সভায় স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ড. ইউনূস তাঁর অবসর গ্রহণের বিষয়টি বোর্ডকে অবহিত করেন। বোর্ড গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ১৪ নম্বর ধারা মোতাবেক এমর্মে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, “যতদিন পর্যন্ত পরিচালকমণ্ডলী অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নেবে, ততদিন পর্যন্ত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল থাকবেন।”
পরবর্তীতে ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ড. ইউনূসের নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে আপত্তি উত্থাপন করে। উক্ত আপত্তির প্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংকে ২০ জুন, ২০০১ তারিখে পরিপালন প্রতিবেদনে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনের এই অনিষ্পত্তি হওয়া বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ৩+৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১৫ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংক এতদসংক্রান্ত কাগজপত্র সহ পুনঃপরিপালন প্রতিবেদন প্রেরণ করে। পুনঃপরিপালন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি নিস্পত্তি হয়েছে বলে বিবেচনা করে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করে। কিন্তু ৬০ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে এরপর কখনো কোনো আপত্তি উত্থাপন করেনি। এখানেও মাননীয় অর্থমন্ত্রী মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। যৌথ মিটিংয়ের কার্যবিবরণী থেকে স্পষ্টতই জানা যাবে যে, ড. ইউনূসের ৬০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক মেনে নিয়েছে। তাই বেআইনিভাবে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।
৬.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ডঃ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকাবস্থায় দেশের সামগ্রিক মাইক্রো ক্রেডিট কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে অবদান ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অবদান ৩৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
জবাব: এই বক্তব্যের মাধ্যমে মাননীয় অর্থমন্ত্রী কি বোঝাতে চাচ্ছেন যে ড. ইউনূসের এমডি পদ ত্যাগের ফলে দেশের সমগ্র ক্ষুদ্রঋণ পরিমণ্ডলে বিশাল কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে? এটা কি কারো বুঝতে কষ্ট হবে যে ড. ইউনূসের দায়িত্ব থাকা, বা না থাকার সাথে ব্যাংকিং খাতে ক্ষুদ্রঋণের অংশ গ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই। ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহণকালে (এপ্রিল, ২০১১) গ্রামীণ ব্যাংকের আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৭৩ কোটি টাকা। বর্তমানে (মে, ২০১৩) আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণ আট হাজার তিনশ’ কোটি টাকা। এটা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মসূচির স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির অংশ।
৭.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: মনে হয় গ্রামীণ ব্যাংকের ২২,০০০ শাখা রয়েছে।
জবাব: তথ্যটি মোটেই সঠিক নয়। মে, ২০১৩ মাস পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার সংখ্যা হচ্ছে দু’হাজার পাঁচশ’ ৬৭টি।
৮.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ড. ইউনূস সাহেবকে ডেকে নিয়ে আমি বলছি আপনি এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করুন, আমি আপনাকে অ্যামিরিটাস বোর্ড মেম্বার করব। ড. ইউনূস বললেন, চিন্তা করে দেখি। এরপর গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলাম। ড. ইউনূস বললেন, তিনি এমডির পদ থেকে চলে গেলে ব্যাংকটি নাকি বন্ধ হয়ে যাবে।
জবাব: ড. ইউনূস ইতোপূর্বে কয়েকবার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসরে যাবার চেষ্টা করেছিলেন। এতে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারী এবং ঋণগ্রহীতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই তিনি মসৃণভাবে দায়িত্ব হস্তান্তরে অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তাঁর সহযোগিতা চান। গত ১৫ মার্চ, ২০১০ তারিখে ড. ইউনূস তাঁর অভিপ্রায় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের স্বহস্তে লিখিত চিঠি দেন (পত্র সংযুক্ত)।
তিনি চিঠিটি নিয়ে অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় গিয়ে তা নিজে পড়ে শোনান। মাননীয় অর্থমন্ত্রী চিঠির বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে সেভাবে অগ্রসর হবেন বলে মত প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রীর কোনো উদ্যোগ না দেখে প্রফেসর ইউনূস তাঁকে টেলিফোনে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি তখনো বলেন, বিষয়টি তাঁর মনে আছে এবং সেভাবেই তিনি অগ্রসর হবেন। কিন্তু সেভাবে অগ্রসর না হয়ে হঠাৎ করে তিনি পদত্যাগ দাবি করে বসলেন।
৯.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: গ্রামীণ ব্যাংক বোর্ডের গ্যারান্টিতে সরোজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে (গ্রামীণ টেলিকম) ঋণ নেয়।
জবাব: এটা মিথ্যা বক্তব্য। গ্রামীণ টেলিকম সরোজ ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংক কোনো গ্যারান্টি দেয়নি।
১০.০ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: ১৯৯৮ সালের বন্যায় গ্রামীণ ব্যাংক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন সরকার ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করেছিল।
জবাব: এটা মিথ্যা কথা। ১৯৯৮ সালের বন্যায় গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রামীণ ব্যাংককে সরকার থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে তিন বছর মেয়াদে শতকরা ১০% সুদে ২০০ কোটি টাকা বন্ড বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় সরকারের গ্যারান্টি প্রয়োজন হয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাংক যথাসময়ে সে টাকা পরিশোধ করে দেয়।
১১.০ গ্রামীণ ডানোন
সামাজিক ব্যবসা সম্বন্ধে ধারণা না থাকায় তিনি এমন সব কথা বলেছেন যার কোনো অর্থ দাঁড়ায় না। ‘স্যোশাল ইনভেস্টভেন্ট’ এবং ‘স্যোশাল বিজনেস’ তিনি একাকার করে ফেলেছেন। অতীতেও এবিষয়ে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে স্যোশাল বিজনেস কি সেটা ব্যাখ্যা করে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি ডানোনের বিষয়ে বলেছেন, ডানোন আগে মুনাফাবিহীন ব্যবসা হিসেবে শুরু করেছিল। এখন মুনাফাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামীণ ডানোন একটি মুনাফাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই নিবন্ধন করা হয়েছে শুরু থেকেই। এখনো তাই আছে। তার আইনকাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সব সামাজিক ব্যবসা মুনাফাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। শুধু এর বৈশিষ্ট্য হলো- মালিক থেকে কোনো মুনাফা নেয় না; শুধু মূলধন ফেরৎ নিতে পারে।
১২.০ গ্রামীণফোন
মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, ড. ইউনূস দাবি করেন. গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে গ্রামীণফোনের মালিকানার কোনো সম্পর্ক নেই।
এটা মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা। ড. ইউনূস এখনো বলেন, গ্রামীণফোনের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানার কোনো সম্পর্ক নেই; এটা সত্য, সত্য, সত্য। এটা নিয়ে এত কথা কাটাকাটির দরকার কী? সরকারের যে দফতরের কাছে গ্রামীণফোনের শেয়ার-মালিকদের তালিকা আছে তাদের কাছ থেকে তালিকাটি চেয়ে নিলেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এটাতো কোনো গোপন বিষয় নয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে শুধু যে গ্রামীণফোনের কোনো মালিকানার সম্পর্ক নেই তাই নয়, অন্য কোনো ‘গ্রামীণ’ নামধারী কোম্পানির সঙ্গেও তার কোনো মালিকানার সম্পর্ক নেই। অযথা এই মালিকানা আবিষ্কারের জন্য সকল কোম্পানির সকল রকম কাগজ তলব করে এখন তোলপাড় কাণ্ড করা হচ্ছে।
বহুবার বলা হয়েছে এগুলি স্বাধীন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি দফতরে নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান মালিকবিহীন প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক মালিকবিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক হবে কি করে? এসব কথা বিস্তারিত বর্ণনা করে ইউনূস সেন্টার থেকে অনেক আগেই পুস্তিকা প্রকাশ করে প্রচার করা হয়েছে। সরকারকে বহুবার বুঝানো হয়েছে।
যেসব গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের মালিক আছে সেগুলির মালিকদের নাম-ঠিকানা সরকারি দফতরেই জমা আছে। এটা আবিষ্কার করার জন্য অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের গত পঁচিশ বছরের জমা বস্তা বস্তা কাগজ ঘাটার দরকার নেই।