নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নযোগ্য খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কীমে ঋণ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং এন্ড সিএসআর বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত এর স্বাক্ষরিত পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও পরিবেশবান্ধব খাত অর্থাৎ সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস এবং বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট স্থাপন কার্যক্রমে ব্যাংকগুলো যাতে সহজশর্তে ঋণ প্রদান করতে পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকার আবর্তনশীল তহবিল নিয়ে ‘‘সৌর শক্তি, বায়োগ্যাস ও বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কীম’’ নামে একটি স্কীম গঠন করা হয়।
সময়ের বিবর্তনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের পরিধি ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রিন ফাইন্যান্সিং বা সবুজ অর্থায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘‘এসিএসপিডি সার্কুলার নং- ০৬ আগস্ট ০৩, ২০০৯’’ এর বিষয়াদি জানায় তফসিলি ব্যাংকগুলোকে।
জিবিসিএসআরডি প্রজ্ঞাপন ০২ জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এসিএসপিডি সার্কুলার নং-০৬/২০০৯, এসএমইএসপিডি সার্কুলার লেটার নং-০১/২০১০, এসিডি সার্কুলার নং-০৯/২০১০, এসিডি, সার্কুলার লেটার নং-০১/২০১০, এসিডি সার্কুলার লেটার নং-০২/২০১১ ও এসিএফআইডি সার্কুলার লেটার নং-০৩/২০১২ প্রজ্ঞাপনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসিএসপিডি সার্কুলার নং-০৬/২০০৯ এর
স্কীমের আওতাভূক্ত খাত ও সর্বোচ্চ ঋণসীমা: এ সোলার হোম সিস্টেম পল্লী ও শহর এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সোলার মিনি গ্রিড পল্লী এলাকার জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা, সোলার ইরিগেশান পাম্পিং সিস্টেম পল্লী এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা, সৌর ফটোভোল্টাইক সংযোজন প্ল্যান্ট/শিল্প স্থাপন। সংযোজন ক্ষমতার ভিত্তিতে ঋণসীমা নির্ধারিত হবে, তবে ৬ কোটি টাকার উর্দ্ধে নয়, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বিদ্যমান গবাদি/পোল্ট্রী খামারে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট সংস্থাপন সর্বোচ্চ ৫০হাজার টাকা,
সমন্বিত গরুপালন ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা। স্লারি হতে জৈবসার প্রস্তুত সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, মাঝারি আকারের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্টে সর্বোচ্চ চার কোটি টাকা, বায়োলজিক্যাল ও কেমিক্যাল এর সমন্বিত প্রযুক্তির স্থাপনে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা, কেমিক্যাল সমূহকে রূপান্তরকরণে সর্বোচ্চ ১ কোটি, সনাতন পদ্ধতির চুন চুল্লীগুলোকে উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপনে সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা, কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন ২টি গরুসহ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, গরু ব্যতীত ৯০ হাজার টাকা, জলবিদ্যুৎ প্লান্ট উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা, এছাড়া চঊঞ বোতল পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা
সৌর ব্যাটারী পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা, প্রযুক্তিসম্পনড়ব বাল্ব উৎপাদন প্লান্টে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা, ইটভাটায় কার্বন নির্গমন হ্রাসের উদ্দেশ্যে প্রযুক্তিসম্পনড়ব প্ল্যান্ট স্থাপন নতুন প্রকল্পের জন্য সর্বোচ্চ ৫ পাঁচ কোটি টাকা ইত্যাদি।