স্থানীয় সরকারের অধীনে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বিশেষ সেল গঠন করে নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এই সেল নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে অর্থও সরবরাহ করছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের দাবি করেছে দলটি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আসেন এবং প্রায় এক ঘন্টা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে আলোচনা বলেন।
এমকে আনোয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘আপনারা বলুন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করলে ক্ষতি কার। আমরাতো বুঝিনা কমিশন বা জাতির কী ক্ষতি হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করি না। আপনারা যারা ’৭৩ সালের নির্বাচন দেখেননি তারা ওই নির্বাচন সম্পর্কে জেনে নিবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ওয়াদা রক্ষা করে না। তারা জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি করে।’
এম কে আনোয়ার বলেন, ‘গাজীপুরে প্রায় ৪০০ দলীয় নেতাকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডিসি, এসপি ও ওসি সরকারের নির্দেশে কাজ করছে। আমরা তাদের তালিকা কমিশনকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন প্রার্থীর কাছে লোক পাঠিয়ে তাকে তার নির্বাচনে নিস্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সেল গঠন করে গাজীপুর নির্বাচন নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
এছাড়া কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষে কাউন্সিলরের আগে মেয়র প্রার্থীর ভোট গণনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কাউন্সিলরের ভোট আগে গণনা করা হয় তাহলে মেয়র প্রার্থীর ভোট গণনায় কারচুপির সম্ভাবনা থাকে।’