কেন্দ্রীয় সভাপতির মুক্তি ও নিখোঁজ নেতাদের সন্ধান দাবিতে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার বিকালে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মেজানুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানান। এর আগে গত রবিবার হরতাল দিতে চেয়েছিল শিবির। কিন্তু বেশ কয়েকটি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিখোঁজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা আজিজুর রহমান, তাজাম্মুল আলী, আব্দুস সালাম, রাজশাহী মহানগরীর অফিস সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম মাসুম, ইবি শিবির নেতা ওয়ালী উল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস, ঢাকা মহানগরীর উত্তর শিবির নেতা নুরুল আমিন এবং ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখার নেতা হাফেজ মো. জাকির হোসেনের সন্ধান ও আদালতে হাজির এবং কেন্দ্রীয় সভপতিসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছে ছাত্র শিবির।
হরতাল সফলের আহবান জানিয়ে সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার বলেন, সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য নজির স্থাপন করেই চলেছে। শিবির সভাপতিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন, একইভাবে মিথ্যা মামলায় জাতীয় নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে কারা নির্যাতন করেই চলছে। আমরা অবিলম্বে তাদের মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গত ২৪ জুন অপহরণের শিকার হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আজিজুর রহমান ও অর্থ সম্পাদক তাজাম্মুল আলী। গত ২৪ জুন ডিবি পুলিশের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা রাজধানীর শাহজাদপুর এলাকা থেকে বিকাল ৫.১৫টায় গ্রেফতার করলেও আজো তাদের আদালতে হাজির করেনি। এরপর গত ২৬ জুন আবারো বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের শিবির নেতা নুরুল আমিনকে গুলশান থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করেনি।
একইভাবে রাজশাহী থেকে অপহৃত শিবির নেতা আনোয়ারুল ইসলাম মাসুমকে অপহরণের ২ মাস ২৪ দিন পেরিয়ে গেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার কোনো সন্ধান দেয়নি।
তিনি বলেন, ছাত্র শিবির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সন্ধান ও মুক্তি দাবি করে আসছে কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। তাই এসব দাবিকে সামনে রেখে আগামী বুধবার ছাত্র শিবির সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে।
এরপরও সরকার যদি কারারুদ্ধ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অপহৃত নেতাদের সন্ধান না দেয় তাহলে হরতালের চেয়েও আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।