স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। স্বদেশের মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘নো’ বল করার দায়ে পাকিস্তানের সে সময়ের অধিনায়ক সালমান এবং দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় কারাদণ্ডও হয় তিন জনের। বয়স কম থাকায় আমিরকে অবশ্য যেতে হয় কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে।
কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত সালমান শুক্রবার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, “পুরো জাতি এবং আমার সব ভক্তের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় তারা ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন।”
“আইসিসি ট্রাইবুনালের রায় আমি মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির চোরা-গর্ত থেকে ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের দূরে থাকার জন্য সতর্কও করে দিচ্ছি। কারণ দেশ এবং দেশের ক্রিকেট-ভক্তদের জন্য তা অপ্রীতিকর।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজাম সেঠির হস্তক্ষেপ কামনা করে সালমান আরো বলেন, “পিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধানকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন আইসিসির কাছে আমার এবং আসিফের নিষেধাজ্ঞা কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। আমার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে আরো দুই বছর বাকি। তাই আইসিসি আমাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দিলে নিষেধাজ্ঞা শেষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মতো প্রস্তুত থাকবো।”
“আমার মধ্যে এখনো যথেষ্ট ক্রিকেট বাকি আছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে আমি আবার দেশের জন্য খেলতে প্রস্তুত।”