মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে লঘুচাপ। এর প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই কারণে দেশব্যাপী বৃষ্টি আরো দু’তিন দিন টানা চলতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া অফিস। রোববার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে রাজধানীতে শনিবার দিনভর থেমে থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসের আশংকার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার কক্সবাজারে পাহড় ধ্বসে একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় প্রবল বর্ষণের কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এরইমধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান জানান, শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ১০২ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে।
এছাড়া কুতুবদিয়ায় ৬৮ মি.মি, কক্সবাজারে ৭১ মি.মি, ফরিদপুরে ৮৯ মি.মি, বরিশালে ৫৫ মি.মি, ঢাকায় ৩৬ মি.মি, খেপুপাড়ায় ৩৪ মি.মি, হাতিয়ায় ২৬ মি.মি ও রংপুরে ১১ মি.মি। এছাড়া আগামী দুই থেকে তিনদিন এই অবস্থা থাকতে পারে। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।