টিকফা চুক্তি হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা দূর ও দেশে সরাসরি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার বিকালে জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে নুরুল ইসলাম বিএসসির এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিকফা চুক্তি না হলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ে দর কষাকষির সুযোগ হারাবে। ফলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হবে না এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে নিয়মিত আলোচনার প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার আগ্রহ সম্বলিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট (টিফা)’র প্রস্তাব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে চুক্তির নাম পরিবর্তন করে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতি বছর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি সহজতর হবে। রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ৫৪৫টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। শুধু মাত্র ফলে ফরমালিন মিশ্রণের কারণে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১১ হাজার ৫৬০ কেজি ফল ও তিন হাজার ৬৩০ কেজি মাছ ধ্বংস করা হয়েছে।