আগামী জাতীয় নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দলকে আলোচনা করার আহবান জানিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবেন না, এটা কারো জন্য ভালো হবে না। আসুন আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান খুঁজি।সাংবিধানিক শূন্যতা শুভ হবে না: সুরঞ্জিত
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ফাইল ছবি
সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসস জানায়, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় নির্বাচন ইস্যুতে বিরোধী দলের প্রতি আলোচনার আহবান জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সংসদের এ অধিবেশনেই আলোচনা শুরু করুন,প্রয়োজনে পরবর্তী অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে।’
তিনি বলেন, সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার আগে অক্টোবরের মধ্যেই এ সঙ্কটের সমাধান বের করতে হবে। তা না হলে সরকার ও বিরোধী দল কারোই কিছুই করার থাকবে না। তখন রাষ্ট্রপতি সুপ্রীম কোর্টের পরামর্শ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা মেনে নিতে হবে।
সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও আইন প্রণয়ন কার্যাবলী শেষে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। বেলা ২টা ৮ মিনিট পর্যন্ত আলোচনা চলার পর বৈঠক বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট আলোচনার ১২তম দিনের সকালের বৈঠকে দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাড়াও সরকারি দলের ইমরান আহমেদ, আবদুল মালেক, শফিকুল ইসলাম, রেজা আলী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আ ক ম বাহাউদ্দিন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মোল্যা জালাল উদ্দিন, মো. শফিকুল ইসলাম, বিরোধী দলের বরকতউল্লা বুলু, জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধা ও ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা আলোচনায় অংশ নেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ৭২ এর সংবিধানেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভিশন রয়েছে। তৎকালীন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন এ প্রভিশন রেখে গেছেন।