যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা স্থগিতের প্রেক্ষাপটে বিশেষ মহলকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার প্রশাসন বৃহস্পতিবার জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিশেষ মহলকে দায়ী ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে চালানো বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার কারণেই অনাকাঙ্খিত এ সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হতে হলো বাংলাদেশকে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাণিজ্য সহযোগীদের সিদ্ধান্তের ওপর পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল হলেও এ কঠোর পদক্ষেপে বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি জিএসপি সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক দাবি করে শিগগিরই এ সুবিধা আবার ফিরে পাওয়ার আশা প্রকাশ করে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জিএসপি বাতিলের এই কঠোর সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্প্রসারণে নতুন করে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যখন দেশের কারখানাগুলোর নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগসহ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে ঠিক সেই সময় জিএসপি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরও দেশটির ক্রেতারা তাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত অংশীদারের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককেও আরো সম্প্রসারিত করবে বলে বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও কারখানার নিরাপদ শ্রম পরিবেশ নিশ্চিতে বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের মানুষের ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রবৃত্তির কথা উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে, ১৯৭১ সালে ঘরে বাইরে বিরূপ পরিবেশের মুখোমুখি হয়ে এদেশের মানুষ যেভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো, তেমনিভাবে তারা জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উদ্যোগী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে স্থান করে নেবে।