সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলার রায়ে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় আট বছর পর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বৃহ্স্পেতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার জেরে দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতমকে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর তার কার্যালয়ে ঢুকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা
গত এক দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় এই প্রথম কোনো মামলার রায় হলো।
রায়ে বিচারক বলেন, সাংবাদিক গৌতম সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ওই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছিলেন বলে মামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
মামলার ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ খান আগেই মারা গেছেন।
বাকি নয় আসামি আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়া এবং আবু তাহের মতুর্জা ওরফে অ্যাপোলোকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আসামিদের মধ্যে অ্যাপোলো পলাতক। কারাবন্দি বাকি আটজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের স্বজনরাও রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তবে রায় শুনে আসামিদের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
রায়ের পর মামলার বাদী সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে সাংবাদিক হত্যার শাস্তির আদেশ হওয়ার শুরু করল- এতে আমরা খুশি। কিন্তু আসামিদের ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না।”
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।