গাজীপুরের মানুষ এরইমধ্যে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি এ বিজয় পরিবর্তন করে ফলাফল অন্যদিকে নেওয়া হয় তাহলে এখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হওয়ার আওয়াজ দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম নিখোঁজের তৃতীয় বার্ষিকীতে শাহবাগ থানা বিএনপির উদ্যোগে বুধবার বিকেল পাঁচটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে তিনি এ আওয়াজ দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রমনা মানুষকে এই সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমেই বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানাতে বাধ্য করা হবে।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘গাজীপুরের ভোটাররা মতামতের যেন প্রতিফলন না ঘটাতে পারে সেজন্য প্রশাসনের বিভিন্ন লোক দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘গাজীপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার জন্য ইতোমধ্যে ৫৭ জন এমপি দিয়ে ৫৭টি কমিটি করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য।’’
তিনি অভিযোগ করেন, জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর চাপে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল এমপিদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন ও প্রধানমন্ত্রীর চাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার এই দুই বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের যে চাপ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থি।’’
তিনি বলেন, ‘‘সরকার ক্ষমতায় আসার পরে গত সাড়ে চার বছরে গণতন্ত্রের সব স্তম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছে।’’
এ সময তিনি দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘‘লিমনের পায়ে যখন গুলি করা হয় তখন ড. মিজান তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। এখন ড. মিজান লিমনের পরিবারকে চাপ দিচ্চে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আপোস করার।”
এজন্য ড. মিজানকে ধিক্কার জানান মির্জা ফখরুল।
এ সরকারের মামলা হামলা হত্যা গুমের কারণে সারাদেশের মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে উল্লেখ করে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরাধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম ও ইলিয়াস আলীসহ সাড়ে চার বছরে ৬১ জন রাজৈনৈতিক নেতার গুম হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘সরকার তাদের খুঁজে বের করতে পারেনি, এমনকি চেষ্টাও করেনি।’’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত ননি তালুকদার।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, কাজী আবুল বাশার, মহানগর বিএনপি সদস্য কাজী আব্দুস সালাম প্রমুখ।