মহাজোট এখন আইসিউতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী। এ সরকারের আমলে মহাজোটকে সবসময় অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বন্যার সময় বাঁধে যেমন ফাটল হয়, তেমনি মহাজোটে আজ ফাটল দেখা দিয়েছে। জাতীয় পার্টি মহাজোটের অন্যতম শরীক, কিন্তু মূল্যহীন। আজ জাতীয় পার্টি মহাজোটে না থাকলে পরিস্থিতি কি হবে তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।”
ফজলে রাব্বি বলেন, “শেয়ার বাজার কেলেংকারির ফলে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছেন। মানুষ বিচার চেয়ে বিচার পায়নি। লুটেরারা নিরাপদে আছে। পদ্মাসেতু কেলেংকারি, রেলের কালো বিড়াল, হলমার্ক কেলেংকারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেংকারি, ডেসটিনি কেলেংকারি, বেসিক ব্যাংক কেলেংকারি, একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের অতিকথন জনমনে অসন্তোষ তৈরি করেছে। এসব কারণে আগামী নির্বাচনে মহাজোট মহাসংকটে পড়তে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে জনপ্রশাসনে অপরিসীম দুর্নীতি, অদক্ষতা, অপরিপক্কতা ও সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে। দেশে ন্যায়-নিষ্ঠার দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশ একটি মাথাভারী প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে পদের তুলনায় অনেক বেশি পদোন্নতি, শত শত কর্মকর্তা ওএসডি।”
জনপ্রশাসনকে জনমুখী করতে না পারায় বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘোষিত বাজেটে কৃষিতে যে ১২ হাজার ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। এছাড়া বাজেটে পোল্ট্রি, ডেইরি ও মাংস শিল্পের কোনো দিকনির্দেশনা নেই, কৃষি গবেষণার বরাদ্দও যথেষ্ট নয়।”
রংপুর বিভাগের এ প্রবীণ এ সাংসদ বলেন, “রংপুর একটি অবহেলিত বিভাগ, এখানকার মানুষ সাদাসিধা ও অভাবী। সারাদেশে যেখানে দারিদ্রের হার ৩১.৫ শতাংশ, সেখানে রংপুরের দারিদ্রের হার ৪৭ শতাংশ। এ বিভাগের মানুষের জন্মই হয়েছে যেন ঢাকায় রিক্সা চালানোর জন্য। এখানে নেই কল-কারখানা, ওষুধ শিল্প, পেপারমিল, গ্যাস, আশানুরূপ বিদ্যুৎ সরবরাহ; নেই কোনো কর্মসংস্থান প্রকল্প।”
তিনি রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য এ বিভাগকে একটি বিশেষায়িত অর্থনীতি জোন ঘোষণা করে এর উন্নয়ন খাতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানান।