তথ্যমন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলায় ছাত্রদলকে দুষলো পুলিশ

0
170
Print Friendly, PDF & Email

তথ্যমন্ত্রীর বাসা লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার ঘটনায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা দু’জনকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব আলম (২৮) ও আকিল মাহমুদ নামে ওই দুই ব্যক্তি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের নির্দেশেই তথ্যমন্ত্রীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ দাবি করেন।

তিনি জানান, আটককৃত আকিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল  ও মাহবুব মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গত ৯ জুন দুপুরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর রাজধানীর দারুস সালামের ১৩৭ নম্বর বাসায় মোটরসাইকেলে ৪ জন দুষ্কৃতিকারী এসে ৩টি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) এর ৭ নম্বর টিম পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে।”

ঘটনার পর গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৫ দিন পর ককটেল নিক্ষেপে অংশ নেওয়া মাহবুব ও পুরো ঘটনার তদারকির কাজে থাকা আকিলকে সোমবার রাত ৯টায় রাজধানীর বেইলি রোড ও রূপনগর থেকে গ্রেফতার করে।

তিনি জানান, ঘটনার সময়ে দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত রবিন, মাহবুব, মীম ও মাসুদ নামে চার ছাত্রদল কর্মী দু’টি মোটরসাইকেলে করে তথ্যমন্ত্রীর বাসার পাশে অবস্থান নিয়ে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
 
এ সময় আকিল ও ফিরোজ নামে ছাত্রদলের আরও দুই কেন্দ্রীয় নেতা পাশে থেকে তদারকি করেন। আর ছাত্রদল নেতা হিমেল ও কমলাপুরে বসে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল মোবাইল ফোনে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। ককটেল নিক্ষেপের পর তারা সবাই মহাখালীর ডিওএইচএস গিয়ে এক ছাত্রদল নেতার অফিসে মিলিত হন। সেখান থেকে তারা গুলশান চলে যান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দুপুরে বোমা নিক্ষেপের আগে এবং পরে ছাত্রদল সভাপতি জুয়েলের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট পর্যবেক্ষণ করে ককটেল নিক্ষেপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার নম্বর সংগ্রহ করে ডিবি পুলিশ।

নম্বর ট্র্যাকে করে দেখা যায়, ওইদিন তথ্যমন্ত্রীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপের সময় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি জুয়েল কমলাপুরে অবস্থান করছিলেন। ককটেল অপারেশন শেষ হওয়ার পর বেলা পৌনে তিনটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়েল তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত মাহবুব তিতুমীর কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করছেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা। আর আকিল মাহমুদ কাজ করছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মনিবুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মসিউর রহমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার তৌহিদ উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে তৌহিদ উল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার করা মাহবুব ও আকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।

শেয়ার করুন