বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে যতোক্ষণ মহানায়ক ও খলনায়ক থাকবে ততোক্ষণ পর্যন্ত সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও জঙ্গিবাদ একসঙ্গে বসে থাকলে সংঘাত অনিবার্য।
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ‘সংসদে অশ্লীল ভাষা নিষিদ্ধ ও স্পিকারের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সুরঞ্জিত বলেন, মানুষ নাটক দেখে কিন্তু পেছন থেকে যিনি সংলাপ বলে দেন (প্রম্পটর) তাকে দেখে না। অভিনেতাকে দেখে। অভিনেতার সংলাপ শোনে।
তিনি বলেন, আমরা এখন এমন একটি সময় পার করছি, যখন মহানায়কের বিপরীতে খলনায়কে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্মভীরু মানুষের কাছে ধর্মকে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে রাজনীতিতে গণতন্ত্রের বিকৃত রূপ হাজির করা হয়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়ম হলো, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। এটি যেখানে থাকে না সেখানে গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠিত হয় না। আর এটি গড়ে তুলতে না পারলে গণতন্ত্রও নিম্নমুখী হতে থাকে।
আলোচনা সভায় হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) পলিট ব্যুরো সদস্য হামরুল হাসান, জাসদের মহানগর সভাপতি মীর হোসেন আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ও হুমায়ুন কবির মিজীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।