সাভারের রানা প্লাজার ধবংস স্তুপ থেকে ১৭ দিন পর উদ্ধার হওয়া রেশমা এখন তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কশিগাড়ীতে অবস্থান করছেন। শুক্রবার ভোর রাতে রেশমা বাড়ী পৌঁছায়। স্থানীয় প্রশাসন মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে দেয়নি তাকে। পরে রেশমা নিজ ইচ্ছায় কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। লেখা-পড়া শেখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন তিনি। রেশমার উদ্ধারের প্রায় দেড় মাস হতে চলেছে। ঢাকা পাঁচ তারা হোটেল ওয়েষ্টিনের জেনারেল ম্যানেজার আজিম শাহ্ ও নির্বাহী সেক্রেটারী হেলেন সহ আরও ২জন পাজরো গাড়ীতে করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রামের বাড়িতে রেশমাকে নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা বেগম সিদ্দীকা ও ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম জাহিদুল ইসলাম শুক্রবার এক ভ্যান পুলিশ নিয়ে যান তার বাড়ী যায়। তারা মিডিয়ার সামনে মূখ খুলতে নিষেধ করে তাকে। ৯ ঘন্টা থাকার পর পাঁচতারা হোটেল ওয়েষ্টিনের ম্যানেজার ও নির্বাহী সেক্রেটারী ফিরে যান ঢাকাতে। এদিকে রেশমা আসার খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্ব-চোখে তাকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুঁটে আসছে অসংখ্য মানুষ। কেউ দেখতে পাচ্ছে, কেউ বা দেখার জন্য অধির আগ্রহে অবস্থান করছে সেখানে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, লেখা-পড়া শিখে সে বড় হতে চান। হোটেল ওয়েষ্টিনে বাংলা ও ইংরেজি’র কোচিং করছেন বলে তিনি জানান।
রেশমা আর ক’দিন বাড়ীতে থাকবে তা বলছেনা কেউ। তবে রেশমার বড় বোন ফাতেমা জানিয়েছেন, সে থাকতে চাইলে থাকবে। এদিকে পাল্টে গেছে রেশমার বাড়ি ও আশ-পাশের চিত্র। রেশমার বাড়ির সামনের মহা-সড়কের ধারে স্থান পেয়েছে তার ছবি সম্বলিত বিশাল সাইন বোর্ড। রেশমা’র বাড়িতে এখন স্বাস্থ্য-সম্মত পায়খানা বসানো হয়েছে। অনেকে এখন সাহায্য-সহযোগিতা করছে রেশমার পরিবারকে। এ কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহামান।