ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংক খণ্ড-বিখণ্ড না করে এ ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন বক্তারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমি, গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা ও দুর্জন প্রতিরোধ কেন্দ্র ‘গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ওই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
আয়োজকেরা আগামী ২ জুলাই থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ বলেন, গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর কিছু করুক না করুক, এই ব্যাংক সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাঙার দরকার কী, আপনারা একটা করেন। গড়ার রাগ করেন, ভাঙার নয়।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার চিন্তা করছেন, তা না করে একটা করে দেখান। জাতিকে অনর্থক খারাপ জিনিস শেখাবেন না।’
আব্দুর রউফ তাঁর বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোকপাত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সচিব এম মনিরুজ্জামান গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের উদ্যোগের প্রতিবাদে ২ জুলাই থেকে সবাইকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে কলাম লেখক সাদেক খান, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন।