গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেতা সংলাপ চান না, তিনি চান গণ্ডগোল। তাই তিনি সংসদে দেয়া মূলতুবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাকে বলবো, এদিক-ওদিক না করে গণতন্ত্রের পথে আসুন। এতে আপনারই লাভ হবে। সকালে গণভবনে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দেশে প্রায় ছয় হাজারের মতো নির্বাচন হয়েছে। কোনো নির্বাচন নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আগামীতে জাতীয় নির্বাচনও হবে সুষ্ঠু। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধান মোতাবেক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ চায়, গণতন্ত্র বজায় থাকুক, সে ব্যবস্থাই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে যে সঠিক নির্বাচন হয় তা স্বীকার করে চারটি সিটি করপোরেশনে অংশ নিয়ে প্রার্থীদের বিজয়ী করে আনতে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী দল। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলে বিরোধী দলের নেতাকে জেলে যেতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, �ওনি কি ভুলে গেছেন দুই ছেলেকে উত্তম- মাধ্যম দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছেন। ওনাকে ও আমাকেও জেলে ঢুকিয়েছেন। অসংখ্য মামলাও দিয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক এলে যে আবার জেলে যেতে হবে না এমন গ্যারান্টি ওনি কোথায় পেলেন।�
শেখ হাসিনা বলেন, �তত্ত্বাবধায়ক ফিরে এলে ওনাকে আবার জেলের ভাত খেতে হবে। কাউকেই ছাড় দেবে না। কারণ মাইনাস টু’র ফর্মুলা বাস্তবায়নকারীরা এবার আরো বেশি শক্রিশালী হয়ে আসবে।� প্রধানমন্ত্রী বলেন, �মাইনাস টু’র ফর্মুলাকারীরা এদিক-ওদিক বাতাস পেলে কাছিমের মতো গলা উঁচু করে কথা বলেন। পরে আবারো কচ্ছপের মতো মাথা ঢুকিয়ে ফেলেন।�
শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, �অমি ডাকলাম সংলাপে, ওনি জবাব দিলেন আলটিমেটাম দিয়ে। ওনি হেফাজতের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওনার ভাবার দরকার ছিল, আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির গভিড়ে। আর বিএনপির জন্ম সামরিক জান্তার মাধ্যমে। ক্ষমতায় থেকে উচ্ছিষ্ট বিছিয়ে। আওয়ামী লীগ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে পারে।�
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সতীশ চন্দ্র রায়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ।