মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার এস আই জাহিদ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে ধর্ষক এস আই জাহিদকে ক্লোজ করা হয়। এব্যাপারে ধর্ষিতার মা জানান, গতাকল বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া এ এস আই ইকবাল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগম তাকে বলেন পাশের ফ্লাটের এস আই জাহিদ আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আপনার মেয়েকে ভয় দেখানোর কারণে আপনাকে না জানিয়ে আমাকে জানায়। তার কাছ থেকে ঘটনাটি জানার পর আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি।
আমরা গত শুক্রবার ৮ জুন ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করার জন্য ঢাকায় যাই। রাতে মেয়েকে ফোন দিলে তখন বাসায় আসে এস আই জাহিদের স্ত্রী। তখন মেয়ে বলে আম্মু তৃতীয় তলার হালিমা আন্টি এসেছে। তখন তার সাথে ফোনে কথা বলি। মেয়েটিকে বাসায় রেখে এসেছি কালকে সকালে আমরা আসব আজ আপনাদের সাথেই রাখেন ওকে। রাতে এস আই জাহিদের মেয়ে ৪ র্থ শ্রেণীর ছাত্রি ও আমার মেয়ে এক রুমে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে জাহিদ ওই রুমে ঢুকে আমার মেয়েকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে এবং পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখায় ও বলে এ ঘটনা কাউকে বললে এসিড দিয়ে মুখ জালিয়ে দিব এবং তোমার বাবাকে জেলে ভরে রাখব। পরের দিন সকালে মেয়েকে অসুস্থ দেখে আমরা বুঝতে পারিনি।
ঘটনা জানার পরই সিরাজদিখান থানার ওসি আবুল বাসারকে বিষয়টি জানালে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং মামলা নিতে গরিমসি করেন। এসপি ও সারকেল এসপি ঘটনা শুনে সিরাজদিখান থানায় চলে আসেন। এব্যপারে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এস আই জাহিদকে অফিসালভাবে ক্লোজ করা হয়েছে। সে এখন আমাদের হেফাজতে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনে আছে। মামলা হওয়ার সাথে সাথে নিয়ম অনুযায়ি তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। অপরাধী যেই হোকনা কেন আমরা তাকে ছাড় দিবনা। আমাদের ডিপার্টমেন্টের হলেও তার ব্যতিক্রম হবেনা। এব্যাপারে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৬/০৬/১৩।