হোটেল তো নয়, যেন মিনি পতিতালয়। পেশাদার কলগার্লদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের ছাত্রী এমনকি কলবধূ পর্যš— যাতায়াত করে এসব হোটেলে। ঢাকা, রাজশাহী ও বগুড়া থেকেও আসে সুন্দরী কলগার্লরা। ডে-নাইট চলে নারী ব্যবসা। শুধু তাই নয় কিছু হোটেলে সন্ত্রসী, খুনি, টেন্ডারবাজ ও নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা অপকর্মকারীদের আশ্রয়স্থল। সেখানে বসে মানুষ খুনের পরিকল্পনা, অস্ত্র ও মাদক লেনদেন হয়। চলে নিয়মিত জুয়া খেলাও। কিন্তু বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও দেখার যেন কেউ নেই। আগে পুলিশ তৎপর থাকলেও এখন জোরালো অভিযান নেই। এজন্যই অপকর্ম থেমে নেই। এ শ্রেণির অসাধু পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে ওই ব্যবসা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার সলংগা থানার হাটিকুমর“ল এলাকায় আবাসিক হোটেলের সংখ্যা প্রায় ১০ টি। এর মধ্যে অধিকাংশ হোটেলগুলোতে রয়েছে নারী ব্যবসার নেটওয়ার্ক। শুধু নারী ব্যবসা নয় এসব হোটেলে মানুষ খুন ও নিয়মিত অপরাধী চক্রের বৈঠকও হয়। তাদের সহযোগিতা করে এক শ্রেণির অসাধু পুলিশ ও এলাকার সন্ত্রাসী হোমরা-চোমরারা। তাই জেনেও এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে না। ভয়ে সবাই চুপসে থাকে। ব্যবসার সাথে জড়িত নন এমন কয়েকজন জানান, যে সব হোটেলে অপকর্ম হয় না সে সব হোটেলে বোর্ডার কম। সৎ ভাবে চালাতে গিয়ে হোটেল বন্ধের উপক্রম হয়েয়ে। বরং হোটেলে অপকর্ম চালিয়ে অনেকে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে আগে পুলিশের অভিযান চললেও এখন নেই। এমনকি নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন হোটেল তদারকির দায়িত্ব পুলিশের থাকলেও তা মানা হয়না। এ প্রসঙ্গে সংশিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও অভিযুক্তরা কথা বলতে নারাজ।