হাজার বছর ধরে আমরা হাঁটিতেছি পলিটিক্যাল রাস্তায়,
ভোটকেন্দ্র থেকে শুরু করে হরতালে শূন্য শহরে;
পিকেটিংয়ের খবর পেয়েছি লাঞ্চে-ডিনারে-নাশতায়!
এত পিকেটার কোথা থেকে আসে বহরে বহরে?
আমরা পরিশ্রান্ত প্রাণ, চারিদিকে রাজনীতির সমুদ্র সফেন,
আমাদের দুদণ্ড শান্তি দিতে নেতাগণ প্লিজ সংলাপে বসেন!
চুল পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়, কাটে না সংলাপের নিশা,
এদিকে সংঘাতে শ্রাবস্তীর কারুকার্য; ভোট দেওয়ার পর
স্বপ্ন ভেঙে খানখান—জনগণ পুরাই হারায়েছে দিশা;
তারা চেয়েছিল ‘চিরসবুজ সংলাপ’ এই ব-দ্বীপের ভিতর।
সংলাপের আভাস পেয়ে বলে, ‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’
অসহায়ের মতো চোখ তুলে চাওয়া জনগণই যেন ভিলেন!
সমস্ত দিন চলে ভাঙচুর-লাঠিপেটা-ককটেল বিস্ফোরণ,
সন্ধ্যা আসে; তারা লুকিয়ে পড়ে, যারা বাসে মেরেছিল ঢিল;
গণতন্ত্রের সব রং ম্লান হলে শুরু হয় আরেক আয়োজন,
তখন টক শোতে জ্বলে ওঠে বাগ্মী তারকারা ঝিলমিল।
সব বক্তা ঘরে ফেরে—সব বাণী; ফুরায় যুক্তিতর্কের লেনদেন;
দেশ পড়েই থাকে অন্ধকারে, প্লিজ মুখোমুখি সংলাপে বসেন!
[জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতা অবলম্বনে]