দেশীয় পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা খুশি

0
188
Print Friendly, PDF & Email

 

 পোল্ট্রি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশীয় উদ্যোক্তারা খুশি। তারা মনে করছে আমদানি নিষিদ্ধ করা সরকারের একটি ভাল সিদ্ধান্ত এবং দেশীয়ভাবেই অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো সম্ভব।

এ মুহূর্তে চীনে অধিকাংশ পোল্ট্রি খামারই আক্রান্ত। ফলে চীন থেকে পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত পণ্য আমদানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় একদিকে খুশি দেশীয় উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারীভাবে হাঁস-মুরগির ডিমের দাম বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

সরকার নিয়ন্ত্রিত খামারে উৎপাদিত বাচ্চা মুরগি, মুরগি ও ডিমের দাম বাড়লে বেসরকারি খাতের খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন। কারণ প্রতিনিয়ত হাঁস-মুরগির খাদ্যসহ অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সূত্রে জানা গেছে, খামারগুলো লোকসান কাটিয়ে উঠতে মন্ত্রণালয়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মেনে নেয়া হলে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এতে ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

বেশি দাম দিয়ে মুরগী ও ডিম খাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের রয়েছে। তবে বর্তমান বাজারে ডিমের দাম তুলনামূলক স্বাভাবিক রয়েছে। এখন প্রতিহালী ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়।

চীন থেকে আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় এখনই বাজারে এর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এ্যাসোসিয়েশন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা সরকারের একটি ভাল সিদ্ধান্ত।

কারণ ওখানে বার্ড ফ্লু ও এ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা চরম আকার ধারণ করেছে। মুরগি ও ডিম থেকে মানব দেহেও ঢুকে পড়েছে এ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ও বার্ড ফ্লু’র জীবানু।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য মতে, ২০০৯ সালের জুনে দেশে মুরগির খামারের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৩টি। গত ২০১০ সালে কমে দাঁড়ায় ৯৮ হাজার ৩২২টিতে।

আর ২০১১ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত টিকে থাকা খামারের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার ১৬৫টি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খামারের সংখ্যা ৬৫ হাজারে নেমে আসে।

তবে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশন সরকারি এ হিসাবকে সঠিক নয় দাবি করে বলেছে, বন্ধ খামারের সংখ্যা আরও বেশি। বর্তমান ৫৫ হাজারেরও কম খামার নিয়মিত উৎপাদনে আছে।

তারপরও যা টিকে আছে তাতে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন এ খাতের বিনিয়োগকারীরা।

আর তাই চীন থেকে আমদানি বন্ধ হলেও দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই বলে জানিয়েছে, নিয়মিত বতর্মান পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশন খামার গুলো।

 

শেয়ার করুন