বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের কারামুক্ত নেতাকর্মীদের নাগরিক সংবর্ধনার নামে রাজধানী ঢাকায় বিশাল শো-ডাউন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। খুব শিগরিরই ১৮ দলীয় জোটের কারামুক্ত নেতাদের সংবর্ধনা দেয়ার জন্য বিএনপি ঘরোনার একটি নাগরিক সংগঠনকে দায়িত্ব দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
একটি সুত্র জানায়, জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ অথবা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হতে পারে। তবে এখনো চূড়ন্ত ভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়নি।
সংবর্ধনার জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির দফতরের মুখপাত্র শামসুজ্জামান দুদু জানান, কারাগারে আটক নেতারা কেবল বের হলো। অনেকে আজও মুক্তি পেয়েছে। একটা কিছু তো তাদের জন্য করতে হবে। দেখা যাক কি করা যায়।
জানাগেছে, রাজধানীতে বড় ধরনের এই আয়োজনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও গেছেন। আজ শনিবার ঢাকায় ফিরে আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।জানাগেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাাহ আমান, মো. শাহজাহান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নীলু, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনিসহ কয়েক হাজার কারামুক্ত নেতাকর্মীকে নিজে উপস্থিত থেকে সংবর্ধিত করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো জেলে রয়েছেন। অনেকে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। যারা জেল খেটেছেন তাদের উজ্জীবিত করতেই এ ধরনের আয়োজন করা হবে বলেও তিনি জানান
এছাড়া তিনি আরো জানান, কারামুক্ত এসব বিরোধীদলের নেতাদের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটানো হবে।