শিগগিরই মেট্রোরেল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ) ডিটিসিএ সভা কক্ষে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের ২য় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “মেট্রোরেলের বিস্তারিত নকশা তৈরি ও নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব মূল্যায়ন কাজ শেষ হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন শেষে দ্রুত কাজ শেষ করে মেট্রোরেল চালু করা হবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসি) গঠন করা হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ডিপো নির্মাণের জন্য রাজউক ৪১ বিঘা জমি দিয়েছে। ইতিমধ্যে জমির দখলও বুঝে নিয়েছে ডিটিসিএ। প্রকল্পের জন্য জনবল নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
মন্ত্রী বলেন, “মেট্রোরেল অপারেশনের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় করা হয়েছে।”
বাস ৠাপিড ট্রানজিট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে ইতিমধ্যে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্রুত গতির বাস ৠাপিড ট্রানজিটের প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন কাজও শেষ হয়েছে এবং এ সপ্তাহে বিআরটি প্রকল্পে সমন্বয়ক নিযোগ দেওয়া হয়েছে।”
এসময় আসন্ন ঈদে যানজট এড়িয়ে চলতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা সিলেট রুটের যাত্রীদের টঙ্গী-কাঞ্চন-মদনপুর ও টঙ্গী-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়ক এবং পোস্তগোলা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়ককে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি।
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, “মহাসড়কের অবস্থা আগের চেয়ে ভাল হলেও রাজধানীর সড়ক গুলোর বেহাল অবস্থা। কিছু কিছু প্রকৌশলী আছে যারা দেশের স্বার্থ এবং জন দুর্ভোগকে বড় করে না দেখে নিজেদের পকেট ভরানোকে বড় করে দেখে। দুর্ভোগ নিরসন না হলে মিটিং করে কি লাভ।”
এসময় দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিসিসির প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।