বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনেও আছে, আলোচনায়ও আছে।
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান বলেন, সরকার কোন বিষয়ে আলোচনা চায়, সেটি স্পষ্ট করলে বিএনপি যেকোনো জায়গায় আলোচনায় বসতে রাজি।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে শামসুজ্জামান বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করার কৌশল বিএনপির জানা আছে। কাল হরতাল শেষ হলেই সব শেষ হয়ে যাবে, সরকার যেন তা না ভাবে। প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণের মতো কর্মসূচিতে যাওয়ারও হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, যে আইন মানুষকে স্বস্তি দেয় না, সে আইন ‘অমান্য কর্মসূচি’ ১৮ দল নেবে কি না, তা সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নিলে আর কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না। মেয়াদের বাকি সময় সরকার কাটাবে, তাতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই।
সম্প্রতি দুজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদ জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু তথ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের ওপর যে “আঘাত” শুরু হয়েছে, তা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নির্মম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুলকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। দলের মুখপাত্র এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেবচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর সংবাদ প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শামসুজ্জামান। তিনি দাবি করেন, যুবদল বা বিএনপির কেউ কুশপুত্তলিকায় আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আগামীকালের হরতালকে সামনে রেখে আজ থেকে পুলিশ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।