সিলেটে বদলে যাওয়া প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী!

0
230
Print Friendly, PDF & Email

সিলেটে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী জোট সরকারের আমলে ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী। ক্ষমতার অপব্যবহার ও তার দাপটে সিলেট নগরীর বাসিন্দাদের ছিলো যেন বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খাওয়ার দশা।এই মুহূর্তে তার আচরণ যেন বশিভূত বিষাক্ত গোখরো সাপের মতোই, যা নগরবাসী আগে কখনই প্রত্যক্ষ করেনি। আরিফকে নিয়ে নগরীর সর্বত্রই এখন এই আলোচনা। বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে স্ব-শিক্ষিত আরিফুল দুর্নীতি-লুটপাট, প্রতারণা ও দখল করে শতশত কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি এখন সিলেটের শীর্ষ ধনকুবের। সেই আরিফুল-ই এখন ভোটারদের কাছে গিয়ে বিনীতভাবে ভোট চাচ্ছেন। নিজেকে সৎ ও যোগ্য হিসেবে দাবি করছেন। নগরবাসীর অনেকেই বলছেন, মেয়র নির্বাচিত হলে আরিফের এই রূপ আর থাকবে না। তিনি জোট সরকারের আমলের সেই আসল চেহারায় ফিরে যাবেন। আবারও তিনি দুর্নীতি-লুটপাট ও দখলের রাজত্ব কায়েম করবেন। তার অতীতের কর্মকাণ্ডই এখন ভোটের রাজনীতিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরবাসী এখন তার সেই অতীতের কর্মকাণ্ড ও আচরণ মনে করছেন। হনুমানের হাতে আর খন্তা দিতে চান না বলেও মন্তব্য করছেন অনেকেই। সিলেট নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, জোট সরকারের আমলে আরিফের উত্থান খুবই রহস্যময়। বিএনপি’র স্থানীয় সব নেতাদের টেক্কা মেরে কী ভাবে তিনি অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের প্রিয়ভাজন ও কাছের মানুষ হয়ে গেলেন তা বিস্ময়কর। বিএনপি’র নেতারা জানান, সাইফুর রহমান আরিফকে ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতেন না। আরিফের মাধ্যমে না গেলে তিনি কারও সঙ্গে দেখাও করতেন না। এ কারণেই সিলেট নগরীর বাসিন্দারা আরিফকে সাইফুর রহমানের ছায়া মন্ত্রী মনে করতেন। এই সুযোগটিই কাজে লাগান আরিফ। সাইফুর রহমান সিলেটে গেলে সারাক্ষণ তার পাশে থাকতেন। তার পাশে ছবি তুলেই একজন কাউন্সিলর থেকে আরিফ নগরীর বড় নেতা হয়ে গেলেন। বিএনপি নেতারা আরও জানান, সাইফুর রহমানের কাছের লোক হওয়ার সুযোগ নিয়ে আরিফ সিলেটে দুর্নীতি-লুটপাট, দখল এবং অনেক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেন। ক্ষমতার দাপটে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন। ঘুষ-দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও কমিশন আদায়ের মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি বানিয়েছেন। এসবই করেছেন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে। দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার নামে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি গ্রেফতার হয়ে যান জেলহাজতে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি ছাড়া পেলেও তার মামলাগুলো এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। সেগুলো এখন নিষ্ক্রিয় রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তার আবারও মামলা গুলো চালু হতে পারে। অনুসন্ধানে আরিফের দুর্নীতির যে চিত্র পাওয়া গেছে তা শুনলে যে কারও গাঁ শিউরে উঠবে। সিলেট নগরী থেকে ৩/৪ কিলোমিটার দূরে খাদিমনগরের শ্যামলনগর টিলার ওপর ২ হাজার ৬৮ শতাংশ (৬২.৬৬ বিঘা) দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে গড়ে তুলেছেন বিশাল বাগান বাড়ি। আঙ্গাউলা মৌজার (জেল নম্বর ৫২) আটটি দাগে (২৭৩৪, ২৭৬১, ২৭৬৩, ২৭৬৪, ২৭৭৯, ২৭৭৮, ২৭৭৭ এবং ২৭৭৬) ছিলো শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ স্টার টি এস্টেট(সাং-তারাপুর চা বাগান)। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর পরই তিনি চা বাগানটি দখল করে নেন। সিলেট ভূমি অফিস জানায়, ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্রে বাগান বাড়িটি দেবোত্তর সম্পত্তি বলে উল্লেখ আছে। দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রির কোন বিধান নেই বলেও জানায় ভূমি অফিস। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাগান বাড়িটি তিনি জাল দলিল করে নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। তবে এখনো তার নামে কোন নাম জারি হয় নি। সার্কিট হাউজ সূত্র জানায়, আসাম প্যাটার্নে সিআইসিসিট বাংলো টাইপ কটেজের সম্পূর্ণ মালামাল বিক্রির জন্য ২০০৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি টেন্ডার দেয় জেলা প্রশাসন। কুমারপাড়ার জুয়েল আহমেদ ভ্যাট-আয়করসহ ৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় মালামালগুলো কিনে নেন। সেই মালামাল আরিফ তার বাগান বাড়িতে নিয়ে যান। সার্কিট হাউজের সেই মালামাল আরিফের বাগান বাড়িতে কী ভাবে গেল তা জানার পর জেলা প্রশাসনও বিস্মিত হয়ে যায়। আরিফের ঘনিষ্টরা জানান, মালামালগুলো নামমূল্যে কিনে নেওয়ার জন্য জুয়েল আহমেদকে দিয়ে তিনি দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। তিনি তার প্রভাব খাটিয়ে জুয়েল আহমেদকে দিয়ে কিনে নেন। বাস্তবে দাম তিনি নিজেই পরিশোধ করেছেন। সরেজমিনে বাগান বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশ দিয়ে তিনি প্রাচীর দিয়েছেন। ভেতরে নির্মাণ করেছেন একটি বাংলো। আরিফ তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে প্রায়ই সেখানে যাতায়াত করেন বলে জানা যায়। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অনেক সুন্দরী নারীকে প্রায়ই বাগান বাড়িটিতে যাতায়াত করতে দেখা যায়। বাগান বাড়িতে যাওয়ার জন্য আগে কোন রাস্তা ছিলো না। তাই তিনি প্রভাব খাটিয়ে বাগানে যাতায়াতের জন্য তিনটি রাস্তা নির্মাণ করেন। তবে প্রবেশের সরাসরি রাস্তাটি নির্মাণ করেছে জেলা পরিষদ। বাগানবাড়ি এলাকার পুরনো নাম ছিলো ভাটা। কিন্তু এই নামটি পছন্দ হয় নি আরিফের। তাই তিনি এলাকাটির নাম দিয়েছেন শ্যামলনগর। বাগান বাড়ি বিদ্যুতায়ন করতে সংযোগ নিয়েছেন ‘১৮ শহর প্রকল্পের’ বৈদ্যুতিক লাইন। আরিফুল হক চৌধুরী রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাগান বাড়ির আশপাশের এলাকায় আবাসিক এলাকা গড়ে তুলতে প্রকল্প নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা ছিলো। তার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্যই তিনি নিয়ম-বহির্ভূতভাবে ১১ হাজার ভোল্টের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুত লাইন নিয়েছেন। পিডিবি’র কর্মকর্তারা জানান, ‘১৮ শহর প্রকল্পের’ অধীনে সিটি করপোরেশনের বাইরে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া বেআইনি। পিডিবি’র কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি সেখানে বিদ্যুত নিয়েছেন। লাইনে ১ হাজার খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি খুঁটি ৫৫ হাজার টাকা হিসেবে সরকারি টাকা খরচ হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। আবার ওই খুঁটি যারা সরবরাহ করেছেন, তাদের কাছ থেকেও আদায় করেছেন মোটা কমিশন। বিস্ময়কর হচ্ছে এই বাগান বাড়ি আরিফুল চৌধুরী হলফনামায় ডেইরি ফার্ম বলে উল্লেখ করেছেন। বাগান বাড়িতে কর্মরত একজন জানায়, সেখানে মাত্র দু’টি গরু আছে। হলফনামায় তিনি বাগান বাড়িটির দাম দেখিয়েছেন ৬০ লাখ টাকা। স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় জমির দাম প্রতি শতাংশ ১ লাখ টাকার ওপর। এ হিসেবে এর দাম হবে অন্তত ২০ কোটি টাকার ওপর। নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান জমি দখল করে নিয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সিলেট সদর হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়ি দিয়ে দখল করে নেন সেখানকার ৫০ শতক জমি। প্রথমে তিনি সেখানে মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা করলেও সমালোচনার মুখে তা করেন নি। ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ধোপাদীঘির পাড়ের একটি গণশৌচাগার ভেঙে ৫ কাঠা জমি তিনি দখল করে নেন। দখল পাকাপোক্ত করতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে সেখানে বসান টেম্পো স্ট্যান্ড। ২০০৫ সালে হযরত শাহ পরাণ(র.)-এর মাজারের পাশে গোলাম রাব্বানী নামে এক ব্যক্তির ২১ শতক জমি দখল করে নেন। জমি উদ্ধার করতে গোলাম রাব্বানী মামলা করেন। মামলার বিবরণে তিনি উল্লেখ করেন আরিফ ও তার স্ত্রী শ্যামা হক চৌধুরীসহ কয়েকজনের নামে ভুয়া দলিল তৈরি করে তিনি জমিটি লিখে নিয়েছেন। চৌহাটা-রিকাবী বাজার-শেখঘাট-সারকিট হাউজ সড়ক সংস্কারের জন্য ২০০৪ সালের শেষের দিকে দরপত্র ডাকা হয়। সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২৭ লাখ টাকা। তিনি এই কাজটি দেন তার ঘনিষ্ট দিলার আহমেদকে। পুনরায় দরপত্র ছাড়াই আরিফ তার প্রভাব খাটিয়ে কাজটি ৫ কোটি টাকায় অনুমোদন করিয়ে নেন। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আরিফ জালালাবাদ গ্যাসের পেছনে ৪০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এই জমির প্রতি শতাংশের দাম এখন ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। ২০০৬ সালে সুবানিঘাটে সড়ক ও জনপথের জমি প্রভাব খাটিয়ে লিজ নিয়ে তিনি সুরমা সিএনজি স্টেশন দিয়েছেন। কুমারপাড়ায় ১৫ শতাংশ জমি কিনে সিগনেচার নামে মার্কেট বানিয়ে ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি সেটি ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। নগরীর মেন্দিবাগে গার্ডেন টাওয়ারের মালিক হোটেল নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন নিয়ে সেখানে ফ্ল্যাট বানিয়ে ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আরিফ তাকে বিপদে ফেলে বিনামূল্যে মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট লিখে নেন। একই ভাবে প্রতারণা করে তিনি গ্রামীণ গ্রামীণ জনকল্যাণ ভবনের ছাদ নিজের নামে লিখে নেন। পরে ভবনের মালিক জামিল চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে ছাদ তাকে আবার ফিরিয়ে দেন। জোট সরকারের আমলে আরিফ ক্ষমতার জোরে ৪৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হন। তখন নগরীর প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তিনি যোগ দিতেন প্রধান অতিথি হিসেবে। কোন কোন অনুষ্ঠানে তিনি সাইফুর রহমানকেও নিয়ে আসতেন। আরিফের ঘনিষ্টরা জানান, তিনি লেখাপড়া বেশি করেন নি। তার পরও তিনি ক্ষমতার জোরেই জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির পরিচালক বনে যান। স্নাতক পাস না হলে এই পদে যাওয়া যায় না। পরিচালক হওয়ার পর তিনি মহাব্যবস্থাপকের গাড়িটিও তিনি দখল করে নেন। জ্বালানি খরচও নিতেন কোম্পানি থেকেই। পরে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে তিনি পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। জোট সরকারের আমলে সিলেটে যত উন্নয়ন হয়েছে, সব খান থেকেই তাকে ১০ পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া ছিলো বাধ্যতামূলক। তাকে কমিশন না দিলে ঠিকাদাররা কোন বিল পেতেন না। তাই সিলেট নগরীতে তিনি মিস্টার ‘টেন পার্সেন্ট’ বলে পরিচিতি পেয়েছেন। কাজ পেতে এবং কমিশন বাণিজ্যে তাকে সহযোগিতা করতেন তখনকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোজাম্মেল এবং জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। আরিফুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, জোট সরকারের আমলে তিনি সিলেটে ১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। সবই হয়েছে তার হাত দিয়েই। সেই সূত্র ধরে অনেকে বলেন, এই হাজার কোটি টাকার কাজে শতকরা ১০ ভাগ নেওয়া কমিশন থেকেই তিনি ১০০ কোটি টাকা বানিয়েছেন। বিপুল অর্থ-বিত্ত ও সম্পদের মালিক হলেও হলফনামায় তিনি অনেক সম্পদ গোপন করেছেন বলে জানান তার ঘনিষ্টরা। নগরীতে তার ৪০ থেকে ৫০টি প্লট রয়েছে। রাজধানীর গুলশান-১ এবং অন্যান্য অভিজাত এলাকায় তার অনেকগুলো ফ্ল্যাট আছে বলে জানায় তার ঘনিষ্টরা। কিন্তু, এগুলোর কথা তিনি উল্লেখ করেন নি। হলফনামায় তিনি নিজেকে স্ব-শিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন, ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। কৃষিখাত থেকে তার আয় ৫৩ হাজার ৩৪৭ টাকা এবং স্ত্রীর ৩০ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে তার আয় ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তার স্ত্রী ভাড়া পান ৭৬ হাজার ৫শ’ টাকা এবং মা ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার আয় ২৫ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ’ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে তার আয় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৯ টাকা এবং স্ত্রীর ৫ হাজার ৫৮৭ টাকা। তার মেয়ে বছরে ফ্ল্যাটের ভাড়া পান ৯৬ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে নগদ ৪ লাখ ৮ হাজার ৯২৩ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা। নিজ নামে ৫ হাজার ২৩৭ পাউন্ড, ৬ হাজার ২০০ ইউএস ডলার। ব্যাংকে নিজ নামে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার ৪৪১ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ লাখ ২৭ হাজার ১২৭ টাকা জমা আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। নিজ নামে রয়েছে ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬শ’ টাকার শেয়ার ও ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২৭৫ টাকার ঋণপত্র। স্ত্রীর নামে আছে ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। নিজ নামে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার কার, স্ত্রীর নামে ৫ লাখ ৭৫ হাজার কার ও ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দামের পিকআপ রয়েছে। নিজ নামে ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, স্ত্রীর নামে ১ লাখ ১২ হাজার টাকার ও মা-সন্তানের নামে ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণ ও মূল্যবান অলংকার রয়েছে। নিজ নামে দেড় লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে ৪৫ হাজার ও মা-সন্তানের নামে রয়েছে ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। নিজ নামে রয়েছে ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র। স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকার ও মা-সন্তানের নামে রয়েছে ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে ৮ দশমিক ৭৭ একর কৃষি ও ৫ দশমিক ৫১ একর অকৃষি জমি, স্ত্রীর নামে শূন্য দশমিক ৮ একর এবং মায়ের নামে রয়েছে শূন্য দশমিক ১২৭৪ শতক জমি। নিজ নামে দালান ২টি ও সেমিপাকা দালান ৩টি, স্ত্রীর নামে সেমিপাকা দালান ১টি, নিজ নামের ৬০ লাখ টাকার দামের ডেইরি ফার্ম ও সন্তানের নামে নামে ১টি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। পূবালী ব্যাংক স্টেডিয়াম মার্কেট শাখায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ৪৩৯ টাকা, মার্ক প্রপাটি ডেভেপমন্টে (জামানত বিহীন) ২৩ লাখ ও সিটি ব্যাংকে তার ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৮ টাকার ঋণ রয়েছে। ব্যবসা হিসেবে মেসার্স সুরমা সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন, সিমেন্ট ডিলার, পাথর-বালু সরবরাহকারী ও আফছা হক চৌধুরী ডেইরি ফার্মের কথা তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

শেয়ার করুন