প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাভারে ভবনধসে আহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাঁর সরকার। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী গুরুতর আহত কয়েকজন শ্রমিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের জন্য চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে তৃতীয় দফায় রানা প্লাজা ধসে নিহতদের ১২৫ পরিবারের সদস্যের মাঝে তাঁর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। খবর বাসসর।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আহতদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বিজিএমইএ নেতাদের প্রতি তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তাঁরা এরই মধ্যে ধসে পড়া রানা প্লাজার শ্রমিকদের এক মাসের বেতন এবং আহতদের চিকিৎসা বাবদ ছয় কোটি টাকা দিয়েছেন।
কিছু ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একটি পরিবারের একাধিক সদস্যকে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হয়েছে, যাতে নিহতদের পরিবারের যাঁরাই প্রাপ্য, তাঁদের উপকার নিশ্চিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে নিহতদের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাঁদের অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান, প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০০টি হুইলচেয়ার হস্তান্তর করে মধুমতী ব্যাংক লিমিটেড। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সাভার ট্র্যাজেডিতে নিহতদের ২২১ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।