ক্রিকেট ব্যাটিংয়ে প্রায় সব রেকর্ড লুটিয়ে পড়েছে তাঁর পদতলে। শুধু ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ছিল না। ওই অতৃপ্তিও ওয়াংখেড়েতে ঘুচিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। ইডেন গার্ডেনসে উঁচিয়ে ধরলেন আইপিএলের ট্রফিটাও। আইপিএলের ষষ্ঠ আসরে এসে শিরোপা খরা ঘুচল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। ইনজুরির জন্য ম্যাচটা অবশ্য খেলতে পারেননি লিটল মাস্টার। তবে সতীর্থরা তাঁকে দারুণ এক জয় দিয়েছেন উপহার। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৩ রানে হারিয়েছে মুম্বাই। মুম্বাইয়ের ১৪৮ রানের জবাবে চেন্নাই ১২৫। জিতেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন টেন্ডুলকার।
ফিক্সিংয়ের অপরাধে দলের সিইও গুরুনাথ মেয়াপ্পান বহিষ্ককৃত। জোরাল দাবি উঠেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এন শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের। এমনকি চেন্নাইকেই আইপিএল থেকে বরখাস্ত করার কথা বলছিল কেউ কেউ। মাঠের বাইরের নানামুখী সমালোচনায় এমনিতে টালমাটাল অবস্থা ছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের। সেটা ঢেকে দিতে চেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা শিরোপা জিতে। তাঁদের সে স্বপ্ন রীতিমত দুঃস্বপ্নে পরিণত করে ছেড়েছেন লাসিথ মালিঙ্গারা। রাতটা এতটা বর্ণিল হবে মুম্বাইয়ের ইনিংসের শুরুতে অবশ্য সে পূর্বাভাস ছিল না। টস জেতে ব্যাট করতে নেমে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট হারাতে থাকে তারা। ১৬ রানে নেই ৩ উইকেট। শুরুর সঙ্গে শেষটার অদ্ভুত মিল! এবার ১০ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। এই ধসের মাঝে ৬০ রানের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি কিয়েরন পোলার্ডের। ১৪৮ রানে থামে মুম্বাই।
চেন্নাইয়ের শুরুটা হয় আরো খারাপ। মালিঙ্গার করা ইনিংসের প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে আউট মাইক হাসি ও সুরেশ রায়না। পরের ওভারে ফিরে আসেন বাদরিনাথ। শুরুর এ ঝড় আর কাটিয়েই ওঠতে পারেনি চেন্নাই। খানিকটা বিরতি দিয়ে উইকেট পড়তেই থাকে, এক পর্যায়ে ৫৮ রানে পতন ঘটে অস্টম উইকেটের। ধোনির ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।