সারা দেশে আজ রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। আজকের হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। মিছিলের সময় নগরীর ফর্মগেট, মৌচাক, নয়াপল্টন, মতিঝিল ও গ্রিনরোড এলাকায় কয়েকটি গাড়িতে আগুন ও দুটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে গতকালের এসব ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূর্ণবহাল, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও সভা-সমাবেশ-মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু গতকাল নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হরতাল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ এই হরতালের সমর্থনে পল্টন, মৌচাক, গ্রীনরোড, মতিঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সারা দেশে হরতাল পালন করতে চাই। হরতালে পুলিশ বাধা দিলে আবার কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, হরতালে অন্য সময়ের মতো আজও ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশরা (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হরতালের নামে নগরবাসীর নিরাপত্তা বিঘি্নত করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ফার্মগেটে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। পরে দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর মৌচাক ও মহাখালীতে জামায়াত মিছিল করে। এরপর মতিঝিলে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এদিকে পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, বিএনপিসহ ১৮ দলের হরতালে ঢাকা মহানগর পুলিশের আটটি ক্রাইম জোনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি চলছে গোয়েন্দা নজরদারি।