১০ দিনের প্রবল বর্ষণে শরীয়তপুর পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোমর আবার কোথাও হাঁটুপানি জমে গেছে। এসব এলাকার অনেক বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। শরীয়তপুর পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা এবং খালগুলো দখল ও ভরাট করে ফেলায় এ দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৫ সালে শরীয়তপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে সরকার এ পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত এবং ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করে। পৌরসভার আয়তন ২৫ বর্গ কিলোমিটার। এ পৌরসভায় আজো প্রয়োজনীয় সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যা-ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে তা-ও ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি পৌরসভার আশপাশের খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। গত ১০ দিনের প্রবল বর্ষণে শরীয়তপুর পৌরশহরের পালং স্কুল রোড, হরিসভা, উত্তর বাজার, স্বর্ণঘোষ, নিরালা আবাসিক এলাকা, শান্তিনগর এলাকায় তিন থেকে চার ফুট পানি জমে ঘরবাড়িতে ঢুকে গেছে। অনেকের ঘরের মেঝেতে ও রান্নাঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় ইট দিয়ে উঁচু করে ঘরের মেঝেতেই চুলা বানিয়ে রান্নাবান্না করা হচ্ছে। এতে শরীয়তপুর পৌরসভার ১৫ হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, পুরো শহরে পাকা ড্রেন মাত্র দুই কিলোমিটার। নিয়মিত এ ড্রেন সংস্কার করা হয় না। বেশির ভাগ নালা বা ড্রেন ব্যক্তিবিশেষের উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয়েছে। পৌরকর্তৃপ ড্রেনেজ সংস্কার এবং তদারকি করলেও দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ময়লা ও আবর্জনার কারণে কোথাও কোমরপানি কোথাও হাঁটুপানিতে পরিণত হয় এ শহর।
নিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন খান বলেন, পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর হলেও এখানে কোনো সুযোগসুবিধা বাড়েনি। তেমনি সামান্য বৃষ্টি হলেই কোমরপানিতে পরিণত হয়ে বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রব মুন্সি বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভা এলাকার খালগুলো দখল করে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ড্রেনেজ করার জন্য নতুন কোনো বাজেট না থাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। আমরা পানি নিষ্কাশন এবং ড্রেনেজের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়েছি।