বহু আগে থেকেই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পৌর ভবনের পিলার ও ছাদে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখনো সেখানে পৌরসভার কাজ চলছে।
পৌরসভা ও উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে উল্লাপাড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই বছরই উপজেলা পরিষদের দোতলা ভবনের ওপরের তলা ভাড়া নিয়ে সেখানে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। আগে সেখানে কৃষি ব্যাংক ছিল। বর্তমানে ওপর তলায় পৌরসভার কার্যালয় এবং নিচতলায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাব রয়েছে।
১৯৮৫ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন সময় মৃদু ভূমিকম্পে এখানে ফাটল দেখা দেয়। এখন পিলার ও ছাদে অসংখ্য ফাটল। অথচ ২০০৪ সালে পৌরশহরে উড়ালসেতুর পাশে পৌরসভার নিজস্ব ভবনের জন্য ৫০ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই জায়গায় পৌর কমপ্লেক্স নির্মাণে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পৌনে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ মেলে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত আলী জানান, ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে এখান থেকে পৌর কার্যালয় সরিয়ে নিতেও বলেছে উপজেলা পরিষদ।
২২ মে সিরাজগঞ্জ জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির ব্যাপারে পৌর মেয়রকে সতর্ক করে দেন।
পৌর মেয়র বেলাল হোসেন জানান, প্রথম দিকে ভবন না পাওয়ায় এখানে কার্যক্রম শুরু করা হয়। সম্প্রতি সাভার ট্র্যাজেডির পর এখানকার কর্মচারী ও আগত নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। জায়গা ও অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন এলেও স্থানীয়ভাবে জটিলতা থাকায় নতুন ভবনের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে অচিরেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।