মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য ১ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়নের মতোই সহযোগিতা চেয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। কেবল নিজের জন্যই নয়, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ অনুযায়ী জনতা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের জন্যও একই ধরনের সুবিধা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আইসিবি। এতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য সরকার মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকারদের অনুকূলে ১০ শতাংশ হার সুদে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে আইসিবিসহ অন্যান্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আইসিবি এবং প্রণোদনা স্কিম বাস্তবায়নকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক বা অন্যান্য উৎস থেকে নেয়া অর্থে স্কিম বাস্তবায়ন করেছে। এতে প্রায় ২৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার সংশ্লিতা রয়েছে। এই টাকা পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় দেয়া হলে এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বাড়বে। ফলে ওই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে।’
নামা প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১২ সালের ৫ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশেষ স্কিমের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়নে খুব একটা মনোযোগ ছিল না। তবে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে এখন প্রণোদনা বাস্তবায়ন ছাড়া সরকারের সামনে আর কোনো উপায় নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রণোদনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ১ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, আইসিবি, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, অগ্রণী ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং জনতা ক্যাপিটাল লিমিটেড সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করেছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগকারীদের ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ এবং আংশিক সুদ মওকুফ করেছে। প্রণোদনা স্কিম অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানকে ২৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা পুনঃঅর্থায়ন করার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বা এর আগেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।