নিরাপত্তার সব বন্দোবস্ত রয়েছে জানিয়ে আশুলিয়ার সব কারখানা খোলা রাখতে পোশাক শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
বুধবার রাতে কারওয়ান বাজারে বিজিএসইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানানোর আগে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানও ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সব কারখানা খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে মহীউদ্দীন খান বলেন, কোনো কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ থাকলে তা নিষ্পতিতে প্রয়োজনে সরকারের পক্ষে মন্ত্রীরা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া শুনে ব্যবস্থা নেবেন।
গত কয়েকদিন ধরে আশুলিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। এতে কয়েকটি কারখানা বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। বুধবার ভাংচুরের পর ১০টি কারখানা বন্ধ রাখা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো কারখানায় হামলা-ভাংচুরের চেষ্টা হলে মালিক পক্ষের অনুমতি ছাড়াই ভেতরে প্রবেশ করবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আশুলিয়া অঞ্চলের পোশাক কারখানায় হামলা-ভাংচুরে স্থানীয়রা জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহীউদ্দীন আলমগীর পোশাক কারখানার মালিকদের স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পরামর্শ দেন।
আশুলিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে সাভার ও আশুলিয়া এলাকার পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তারা।
“হেফাজতের কাধে ভর করে সরকারের পতনে ব্যর্থ হয়ে কিছু রাজনৈতিক দল এখন শ্রমিকদের দিয়ে পোশাক খাত ধ্বংস করতে চায়।”
নৌমন্ত্রী শাহজাহান বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে কারা আছে, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে।
“পোশাক খাতের শৃঙ্খলার স্বার্থে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে সব শ্রমিক এনজিও করছে তারা ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবে না,” বলেন এই শ্রমিক নেতা।
এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের গেজেট জারি হবে জানিয়ে শাহজাহান খান মহার্ঘ ভাতা দেয়ার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান।