বৃহস্পতিবার শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন। এ এক অন্যরকম আনন্দের দিন। একই দিনে বুদ্ধের বোধি লাভ আর মহাপরিনির্বাণও হয়। দিনটির তাৎপর্য তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে আরো বেশি। বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পালন হয় এই দিবসটি ঘিরেই। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বুদ্ধ অনুসারী হাজার হাজার ভক্ত বিন্রম শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে অনুরণিত হবেন। মোহমুক্তির মোহনায় মিলিত হয়ে জীবনের ঈশ্বরকে জানতে তাঁরা করবেন বুদ্ধবন্দনা। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে উৎসব পালন হবে বুদ্ধপূজা ও শীল গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ সালে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বর্তমান নেপালে শাক্যরাজ শুদ্ধোধন ও রানী মহামায়ার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। জন্মের কিছু দিন পরই সিদ্ধার্থের মা ইহলোক ত্যাগ করেন। তখন মাসী মহাপ্রজাপতি গৌতমী সিদ্ধার্থের লালন-পালন করেন। এ কারণে সিদ্ধার্থ ‘গৌতম’ নামে পরিচিতি পান। গৌতম তাঁর জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেনথত্যাগেই জীবন সার্থক ও সুন্দর হতে পারে। তিনি হয়ে ওঠেন মুক্তির নির্দেশনাদাতা-গৌতম বুদ্ধ।
বুদ্ধের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফোডারেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে সকাল ৬টা ১ মিনিটে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন ও ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ। এরপর ৮টায় উদ্বোধন হবে রক্তদান কর্মসূচি। সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার থেকে বের হবে শান্তি শোভাযাত্রা। এরপর সকাল ১০টায় শুরু হবে বুদ্ধপূজা ও শীল গ্রহণ। সকাল ১১টায় রয়েছে ভিক্ষুদের পিন্ডদান কর্মসূচি। বিকেল ৬টায় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার আলোকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় শাহবাগ থেকে শোভাযাত্রা বের করবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া এটি উদ্বোধন করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ নেতারা দিবসটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।