রাজশাহী মহানগরীর সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার হোসেন ডাবলু দলীয় কর্মীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আসন্ন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা নিয়ে কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। বুধবার বিকালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্ত য্বুলীগ নেতা মাহফুজের পিতা সুলতান আলীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ডাবলুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম রেজাউল ইসলাম জানান, মহানগরীর সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার হোসেন ডাবলুর ভাই রুবেলের সঙ্গে বিভিন্ন টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মাহফুজের দ্বন্দ্ব চলছিল। নগরীর চণ্ডীপুর নিজ বাসা থেকে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পান খেতে বের হন যুবলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন ডাবলু। এসময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাবলু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আসন্ন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে কোন্দল চলছিলো। এই কোন্দলের জের ধরেই যুবলীগ নেতা ডাবলুর ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী মাহফুজ, জনি ও টমি নামক তিনজনকে চেনা গেছে বলেও দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এঘটনায় যুবলীগ নেতা মাহফুজ জড়িত থাকতে পাওে বলে ধারণা করছে পুলিশ। মাহফুজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযোগে ৪/৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজপাড়া থানার ওসি নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম রেজাউল ইসলাম ।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনের পাশাপাশি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি পূর্বশত্র“তার জের এবং ঠিকাদারি ও বেটিং চক্রের ভাগাভাগি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটতে পারে। ওসি জানান, লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এলাকায় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। তবে সন্ধ্যাপর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলেও জানান ওসি।
এদিকে এঘটনার পর ডাবলুর সমর্থকরা চণ্ডীপুরের কদমতলা মোড়ে দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর করে।