সিলেট সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৫ জনের বিরুদ্ধে কখনো মামলা হয়নি। ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে। আর সদ্য বিদায়ী ২৭ কাউন্সিলরের মধ্যে মামলা রয়েছে ১৬ জনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী ১৬ কাউন্সিলর: সদ্য বিদায়ী ২৭ কাউন্সিলরের সবাই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেজাউল হাসানের বিরুদ্ধে চলতি বছর দুটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেজওয়ান আহমদের বিরুদ্ধে দুটি মামলার একটি তদন্তাধীন এবং অপরটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরহাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বর্তমানে তিনটি মামলা তদন্তাধীন, একটি বিচারাধীন এবং একটির ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের ছালেহ আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রকিবের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি ফৌজদারি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। অর্থঋণসংক্রান্ত একটি মামলাসহ দুটি মামলা আপসনিষ্পত্তি হয়েছে বলে হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তনু দত্তের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে, একটি মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং অপর মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ বি এম জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিনার খান একটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আজাদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা তদন্তাধীন, দুটি বিচারাধীন ও একটির কার্যক্রম উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত করা হয়েছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক আহমদ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোহামঞ্চদ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি করে মামলায় উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ জারি রয়েছে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আশিক আহমদের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মামলার জালে নতুনেরাও: ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল মামুন ইবনে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেদ আহমদ একটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। ওই ওয়ার্ডের আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সায়ীদ মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। একই ওয়ার্ডের আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ খানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। একই ওয়ার্ডের মো. আলমগীর হোসাইন খানের বিরুদ্ধে তিনটি ও বিধান কপালীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। একই ওয়ার্ডের মো. শওকত আলীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা বিচারাধীন।