দুই নেত্রীকে দেশের মানুষ চায় না- মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, “মানুষ চায় জাতীয় পার্টির সরকারকে। এ জন্য আগামীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।”মানুষ চায় জাতীয় পার্টির সরকার : এরশাদ
ফাইল ছবি
সোমবার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিফপুরে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে- উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, “কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। দেওয়া হচ্ছে হরতাল। আর হরতালের কারণে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।”
এভাবে একটা স্বাধীন দেশ চলতে পারে না- মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, “মানুষ আর জ্বালাও পোড়াও চায় না। এসব থেকে দেশের মানুষ পরিত্রাণ চায়, পরিবর্তন চায়। তাই দু’নেত্রীকে আর দেখতে চায় না দেশের মানুষ। আর এ সময় দরকার জাতীয় পার্টির সরকারকে। তাই আগামী নির্বাচনে আমরা এককভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চাই।”
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমাদের ১৫১টি আসন প্রয়োজন। এসব আসন পেতে এখন থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে। গত নির্বাচনে রংপুরের তিনটি আসন জোর করে নেওয়া হয়েছিল। এবার এসব আসন আমাদের ফেরৎ নিতে হবে।”
“আমি বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে জেলে দিয়েছে, জরিমানা দিতে হয়েছে। আমার দল ভেঙ্গেছে। আর আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে কিছুই পাইনি।”
এরশাদ বলেন, “আমি বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে জেলে দিয়েছে, জরিমানা দিতে হয়েছে। আমার দল ভেঙ্গেছে। আর আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে কিছুই পাইনি।”
তিনি বলেন, “আমাদের কেউ বন্ধু ভাবে না। অথচ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তারা আমার সমর্থন নিয়েছে। এবার আর সে ভুল করতে চাই না।”
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “তারা আমার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষের মনে রয়েছে আমার নাম, তা কখনো মুছে ফেলতে পারবে না।”
জনসভায় জাপা নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এরশাদ বলেন, “আগামীতে জাহাঙ্গীর হচ্ছে আমাদের দলের প্রার্থী। তাকে আগামীকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাতে হবে।”
সাভারের ‘রানা প্লাজা’ দুর্ঘটনা সম্পর্কে এরশাদ বলেন, “মালিকের অর্থ লোভের কারণে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এগারশ’ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য সরকার এবং গার্মেন্ট মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে।”
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাপা নেতা সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডল, জাপা কেন্দ্রীয় নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা, ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু প্রমুখ।
পরে এরশাদ শঠিবাড়িতে জাপা আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে এইচএন আশিকুর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সরকারের আলবদর রাজাকারদের রিক্রুটিং অফিসার। তিনি এখন আওয়ামী লীগের নেতা এবং আপনাদের এখানকার সংসদ সদস্য। আগামীতে এ ধরনের লোককে আপনারা নির্বাচিত করবেন না। এখানকার উন্নয়নের জন্য আগামীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফখর-উজ-জামানকে নির্বাচিত করবেন। তাহলে এখানকার উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে।”