নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা সত্ত্বেও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা । নির্বাচন কমিশনের নোটিশ উপেক্ষা করে এখনও নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে প্রার্থীদের পক্ষে লাগানো বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজারে একজন মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে এখনও লাগানো রয়েছে বিশাল বিলবোর্ড। জিন্দাবাজার, তালতলা, তেলিহাওর, মির্জা জাঙ্গাল, শেখঘাট, সুরমা মার্কেট পয়েন্টে ও হকার মার্কেটসহ নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থনে লাগানো ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার।
একইভাবে নগরীর নাইওরপুল, জেল রোড, নয়াসড়ক, তাঁতীপাড়া, দাঁড়িয়াপাড়া, বারুদখানা, পাঠানটুলা, মদীনা মার্কেট, বাগবাড়ী, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার, রায়নগর, শাহী ঈদগাহ, পীরমহল্লা, সুবিদবাজার, আম্বরখানা ও দরগাহ গেইট, টিলাগড় পয়েন্ট, উপশহর এলাকা, মেন্দিবাগ, সোবহানীঘাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের লাগানো পোস্টার-বিলবোর্ড এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আমরা প্রার্থীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। তারপরও যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকেল থেকে নির্বাচন কমিশন অভিযানে নামবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রার্থীদের পোস্টার-বিলবোর্ড অপসারণ করতে এর আগে নির্বাচন কমিশন ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দিলেও অধিকাংশ প্রার্থীই তা কার্যকর করেননি।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু পোস্টার-অপসারণ না করে উল্টো অনেক প্রার্থী বিভিন্ন স্থানে আরো পোস্টার লাগিয়েছেন। এছাড়া প্রার্থীরা মতবিনিময়ের নামে সভা সমাবেশে ভোটারদের মধ্যে খাবার বিতরণ করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আচরণ বিধিতে নিষিদ্ধ থাকলেও এসবের পরোয়া করছেন না প্রার্থীরা।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে বলে জানা গেছে। এমনকি এ অভিযোগে অভিযুক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।