গত রোববার লিও’র বিপক্ষে ০-১ গোলে জয়ী হয়ে ১৯৯৪ সালের পরে প্রথমবারের মতো ফরাসি ফুটবল লীগ ওয়ানের শিরোপা জিতেছে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি)। শনিবার টোলুসের বিপক্ষে মার্সেইর ২-১ গোলের জয়ের পরে পিএসজির শিরোপা লিও’র বিপক্ষে ম্যাচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে এসি মিলানের সাবেক উইঙ্গার জার্মি মেনেজ একমাত্র গোল করে দলকে শিরোপা এনে দেয়ার পাশাপাশি ১৯ বছরের খরা কাটিয়ে পিএসজিকে এক অনন্য অর্জন এনে দিয়েছেন। রোববারের ম্যাচে অবশ্য সব দিক থেকেই পিএসজি এগিয়ে ছিল। তবে এবারের লীগে তৃতীয় স্থানে থেকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জায়গা করে নেয়া লিও’র সমর্থকরা আরও বেশি কিছু আশা করেছিল। দীর্ঘদিন পর লীগ শিরোপা জিতে পিএসজি অন্তত এটাই প্রমাণ করেছে যে, মৌসুমের শুরু থেকেই তারা ফেভারিট ছিল।
ম্যাচের শুরু থেকেই উভয় দলের উজ্জীবিত ফুটবলের কারণে দুই দলের গোলরক্ষকই বেশ চাপে ছিল। বাফটেমি গোমিসের হেডে পিএসজির নিকোলাস ডুশেজ এবং জালাতান ইব্রাহিমোভিচের লব শট লিও গোলরক্ষক এন্থোনি লোপেজ একই দক্ষতায় রক্ষা করেন। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র হওয়ার পরে ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত প্রাণ ফিরিয়ে আনেন মেনেজ। ৫৩ মিনিটে গোলটির মূল কারিগর ছিলেন থিয়াগো মোতা। মিডফিল্ড থেকে থিয়াগোর বাড়িয়ে দেয়া বল ইব্রাহিমোভিচের পায়ে যায়। সুইডিশ এই তারকা আনমার্কড মেনেজের দিকে বল বাড়িয়ে দিলে প্রায় ১৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লোপেজকে বোকা বানান মেনেজ।
লিও কোচ রেমি গার্দে অবশ্য এই পরাজয় মেনে নিয়ে পিএসজিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুরো মৌসুমে তারা কখনই দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। তবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় তারা দারুণ খুশি। গার্দে বলেছেন, ‘পিএসজিকে অভিনন্দন, যদিও এখানে তাদের শিরোপা জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে দেখাটা কিছুটা কষ্টকর। পিএসজিতে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমরাও মাঝে মাঝে কয়েকটি ম্যাচে খুব খারাপ খেলেছি।’
সবচেয়ে বেশি শিরোপাধারী ক্লাব :
সেইন্ট-এটিয়েন : ১০ বার, মার্সেই : ৯, নানটেস : ৮, মোনাকো : ৭, লিও : ৭, রেইমস : ৬, বোর্দো : ৬, নাইস : ৪, লিলি : ৩ ও প্যারিস সেন্ট-জার্মেই : ৩ বার। বাসস/এএফপি।