আসন্ন চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ‘বিনা চ্যালেঞ্জে’ মাঠ ছেড়ে দেবে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। অবশ্য বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ‘আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার’ পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় এবারও কাউকে সরাসরি ‘সমর্থন’ না দিয়ে ‘ভিন্ন কৌশল’ গ্রহণ করেছে তারা। কেন্দ্রের ‘ইঙ্গিতে’ রাজনৈতিকভাবে মাঠ দখলে রাখতে নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন ব্যানারে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা।সিটি নির্বাচনে মাঠ ছাড়ছে না বিএনপি
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কেন্দ্রের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়ে দলীয় পদ থেকেও পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন স্থানীয় নেতারা। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল রোববার শেষ দিনে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩, সিলেটে ৫, খুলনায় ৩ ও রাজশাহীতে ২ জন বিএনপি নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সমকালকে বলেন, সিটি করপোরেশন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দলীয়ভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে কাউকে সমর্থন দেবেন না তারা। ব্যক্তিগতভাবে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার।
বিএনপির মুখপাত্র শামসুজ্জামান দুদু গতকাল সমকালকে বলেন, এটি দলীয় নির্বাচন নয়। এ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি এখন পর্যন্ত বিরোধিতাও করছে না, আবার সমর্থনও দিচ্ছে না। দলগতভাবে তারা মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সরকার হঠাৎ করে চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এ নির্বাচন নিয়ে আলাদাভাবে তেমন কোনো উৎসাহী নয় বিএনপি।
দলীয় সূত্র জানায়, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থীকে ‘নেপথ্যে’ সমর্থন দিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বিএনপি। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ‘জনপ্রিয়’ ও ‘যোগ্য’ নেতাদের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২৬ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ১৫ জুন চার সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রমতে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত স্থানীয় নেতারা একক প্রার্থীকে মাঠে রাখতে ‘ব্যর্থ’ হলে দলের হাইকমান্ড ‘নেপথ্যে’ হস্তক্ষেপ করবে। তাতেও একাধিক প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ‘নিবৃত্ত’ করতে না পারলে দল থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হতে পারে। অবশ্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়ে গতকাল খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী দল থেকে পদত্যাগ করে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখেই আসন্ন চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ না করার পক্ষে বিএনপির অধিকাংশ নীতিনির্ধারক নেতা। তাদের মতে, বর্তমানে মহাজোট সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রয়েছেন তারা। বিশেষ করে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দল। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলে তাদের দৃঢ়বিশ্বাস। তাদের দাবির পক্ষে দেশ-বিদেশে ‘জনমত’ তৈরি করছেন তারা।
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের দাবি ‘দুর্বল’ হয়ে যাবে বলে মনে করেন শীর্ষ নেতারা। বিএনপি সরাসরি এ নির্বাচনে মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দিলে অনেকে বিজয়ী হবেন। তাতে সরকার তাদের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব বলে দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রচার চালাবে। এতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিএনপির চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ‘কিছুটা কমে’ যেতে পারে। কাজেই বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে ‘কৌশলী’ ভূমিকা নেওয়ার পক্ষে মত দেন তারা।বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এক সদস্য সমকালকে জানান, দলীয়ভাবে প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না। বিরোধী দলের এক দফা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনকে বানচাল করতেই সরকার এ কৌশল নিয়েছে। তারা সরকারের কোনো কৌশলে পা দেবেন না।
অবশ্য চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে বিএনপির মাঠপর্যায়ের সব নেতাকর্মী। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অন্যান্য দলের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসেছেন। চার সিটি করপোরেশনে স্থানীয় বিএনপি নেতারা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনেকে গণসংযোগ ও প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছেন। মেয়র পদে দলীয় সমর্থন পেতে তদবির-লবিং শুরু করেছেন মহানগর ও জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিন বিএনপি নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বরিশাল দক্ষিণ জেলার বিএনপি সভাপতি আহসান হাবিব কামাল, দলের নগর সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান শাহীন ও জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবায়দুল হক চাঁন। তাদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারসহ স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ শাহীনকে সমর্থন দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে অন্য দুই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অবশ্য শনিবার মজিবর রহমান সরোয়ারের বাসায় ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দিতে বৈঠক হয়। শেষ পর্যন্ত একক প্রার্থী দিতে ‘সমঝোতা কমিটি’ও গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি বলেন, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তারা একক প্রার্থী দিতে তাকে অভিভাবক মেনেছেন। তিনি সমঝোতা কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। প্রার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তিন বিএনপি নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা ও নগর বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু। তাদের মধ্যে বিগত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী মনি এবারও স্থানীয় বিএনপির বড় অংশের সমর্থন পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে মনিরুজ্জামান মনি গতকাল দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি মহানগর সভাপতি মঞ্জুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি দলের চেয়ারপারসনের কাছে তা পেঁৗছে দেবেন। তিনি জাতীয়তাবাদী নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি বলেন, দীর্ঘদিন জনগণের সঙ্গে কাজ করছি। নির্বাচনের জন্য সরকার ও প্রশাসনকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে হবে।
খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু সমকালকে বলেন, দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে। তারা মনে করেন, বর্তমান সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাটসহ নানা ব্যর্থতার কারণে তাদের প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। তবে দলীয় সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন তারা।
সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাঁচ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগরের সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সিলেট জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সিনিয়র সহসভাপতি নাসির হোসাইন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা সালাহউদ্দিন লিমন। তাদের মধ্যে জামানকে সমর্থন দেয় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর বড় অংশ।
নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে পদত্যাগী নেতা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন করার ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় থাকায় তিনি সম্মিলিত নাগরিক জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তবে অপর প্রার্থী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন করতে বলেছেন।
রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির দুই নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
গতকাল দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে দু’জনই মনোনয়নপত্র জমা দেন। শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে একক প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এখনও কাউকে সমর্থন দেননি। এ বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
অবশ্য দুই প্রার্থীই সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও শফিকুল হক মিলন। বুলবুল বলেন, দলের ও নাগরিক ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু’জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মিলন বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ব্যানারে করার সুযোগ না থাকলেও জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে বিএনপির একক প্রার্থী মেয়র নির্বাচন করবে।
রাজশাহী নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের আগে তারা একক প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করে সিটি নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে জানাবেন বলে জানান।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-উর-রশীদ মনে করেন, বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে মাঠ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে। চলমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের আওতামুক্ত রাখলেই অসুবিধা হবে না।
আগের তিনটি সিটিতেও ‘কৌশলী’ ভূমিকা: সর্বশেষ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবগঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপি। তখন বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বা ‘নাগরিক কমিটি’র ব্যানারে প্রার্থী না দেওয়ার অন্যতম কারণ রংপুরে সাংগঠনিক দুর্বলতা। এর আগে ২০১১ সালের শেষদিকে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরাসরি অংশ নেয়নি দলটি। সেনা মোতায়েন ছাড়া এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হওয়ায় নির্বাচনে সরাসরি অংশ না নিলেও কৌশলী ভূমিকা নিয়েছিল তারা। কুমিল্লায় দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে নির্বাচনের আগে বহিষ্কার করা হলেও বিজয়ী হওয়ার পর আবার ফিরিয়ে নেওয়া হয় দলে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজনৈতিক ‘কৌশল’ গ্রহণ করে নির্বাচনের সাড়ে সাত ঘণ্টা আগে মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। অবশ্য দল-সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে প্রথম দিকে দ্বিমত পোষণ করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় চাপের মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।