কারখানায় ১০০ শ্রমিক হলে বিমা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

0
135
Print Friendly, PDF & Email

শ্রম আইন ২০১৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই আইনে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১০০ জন শ্রমিক রয়েছেন, তাঁদের জন্য গ্রুপ বিমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে শ্রম আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আইনে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের বিমা-দাবির টাকা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নিজ উদ্যোগে আদায় করতে হবে। কোনো কারণে শ্রমিক মারা গেলে তাঁর পোষ্যদের ওই বিমার টাকা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আদায় করে দেবেন।
পোশাক কারখানাগুলোতে পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করলে স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্লিনিক থাকার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানানো হয়, শ্রম আইনে ৯০ দিনের মধ্যে বিমা নিষ্পত্তি করার বিধান রাখা হয়েছে। সিবিএ (সংগঠন) ও ছোট কারখানাগুলোতে অংশীদারমূলক কমিটি করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনে শ্রমিকদের গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সচিব জানান, আইনে শ্রমিকদের চাকরির মেয়াদ ১২ বছর হলে এক মাসের মজুরির সমান ও ১২ বছরের বেশি হলে দেড় মাসের মজুরির সমান গ্রাচ্যুইটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগের জন্য আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সচিব বলেন, বর্তমান আইনে ট্রেড ইউনিয়নের নামের তালিকা মালিকপক্ষকে সরবরাহ করতে হতো। নতুন আইন পাস হওয়ার পর নামের তালিকা মালিকপক্ষকে দিতে হবে না।
এ ছাড়া নতুন আইনে প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে পারবে। সচিব জানান, শ্রমিকেরা যে পরিবেশে কাজ করবেন, ওই পরিবেশের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। যেমন—বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা, প্রতিবন্ধকতা ছাড়া বহিরাগমন পথ ও সিঁড়ি নিশ্চিত রাখার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল করার কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোর স্ট্রাকচারাল আইন ও ফ্যাক্টরি লে-আউট প্ল্যানের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে।
আইন না মানলে কী ধরনের শাস্তির বিধান আছে—জানতে চাইলে সচিব জানান, বিভিন্ন ধরনের বিধান রাখা হয়েছে। কারখানায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করলে স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্লিনিক থাকার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকের সংখ্যা কম হলে স্বাস্থ্যসেবার বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল এই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো।

শেয়ার করুন