এই হরতাল দেয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দলের নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে গণহত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তার প্রতিবাদে রোববার হরতাল ডাকে দলটি। রোববার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশে গ্রেপ্তার করা হয় ইউসুফকে।
এরপর এক বিবৃতিতে হরতালের ঘোষণা দেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, যার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা রয়েছে।
এই গ্রেপ্তার ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে রফিকুল বলেন, “সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতেই একের পর এক দলের নেতাদেরকে আটক করছে।”
যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলটির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা।
এছাড়া দলের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সোবহান, মীর কাসেম আলী, এটিএম আজহারুল ইসলামও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাবন্দি।
রোববার জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের সকালে যানবাহন স্বল্পতায় দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
রোববার জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের সকালে যানবাহন স্বল্পতায় দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
কামারুজ্জামানের রায়ের বিরুদ্ধে হরতালে জামায়াতকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় দেখা যায়নি, যেমনটা দেখা গিয়েছিলো সাঈদীর রায়ের পর।
রোববার সকালে হরতাল সমর্থকরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি একটি পিক-আপ ভ্যান ও দুপুরে মিরপুরে একটি বাস পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া বনশ্রী, মতিঝিল, মিরপুর, ধোলাই খাল, বকশী বাজার এলাকায় শিবিরকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে।
সকাল থেকেই রাজধানীতে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল ছিলো স্বাভাবিক, বাসও চলেছে। ট্রেন, লঞ্চ ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিলো বন্ধ।
ঢাকার বাইরেও বড় ধরনের গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে হরতাল সফল হয়েছে দাবি করে জামায়াত নেতা রফিকুল সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ সফল করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনের ওই সমাবেশে জোটের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে।