গত ৫ মে ঢাকা শাপলা চত্ত্বরে মধ্যরাতে আইন-শৃংঙ্খলা বাহীনির হামলায় আহত ও নিহতদের তালিকা প্রস্তুত তথা তথ্য অনুসন্ধান করতে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা এখন মাঠে। ইতিমধ্যে খোঁজ পাওয়া আহত ও নিহদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষ করে যাচ্ছে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া এদের মধ্যে অনেকে আহতদেরকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হেফাজত কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল নেতা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন মধ্যরাতে ঘুমন্ত নিরাস্ত্র হেফাজত কর্মী ও সমর্থকদের উপর আইন-শৃংঙ্খলা বাহীনি হামলায় আহত ও নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের জন্য কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী নিদের্শ দিয়েছেন। আমীরের নিদের্শের পরিপেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এখন মাঠে তালিকা প্রস্তুত করতে বেশ তৎপর হয়ে পড়েছেন। গত ৫ মে ঘটনার ৩ দিন পরে আমীর কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের এই নিদের্শ দেন।
এই ব্যাপারে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ফোরকান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সিটিজি টাইমস ডটকমে বলেন, আমীরের নিদের্শ পেয়ে আমার ইতিমধ্যে সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হেফাজত নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ চলছে। ওই সব নেতাকর্মীদের আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে আহত ও নিহতের নামের তালিকা কেন্দ্রীয় আমীরের কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তাদের প্রেরিত তালিকা থেকে আমরা ওই দির আইন-শৃংঙাখলা বাহীনির হামলায় আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সর্ম্পকে জানতে পারব। এই তালিকায় ৩টি কলাম রয়েছে। এগুলো হল-নিহত, আহত ও নিখোঁজ। তবে এই তালিকার সাথে তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে তাদের ঠিকানা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া দারুল উলুম মাঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার পর মাদ্রাসায় ফিরেছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। সব তালিকা এক সাথে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকই আহত ও নিহতের পরিবার পরিজনের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আহত হেফাজত কর্মী ও তৌহিদি জনতার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই জন্য নেতাকর্মীরা তাদেরকে (আহত) আর্থিকভাবে সহযোগীতা করছে বলেও জানা গেছে।