সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শি¶া অফিসারের বির“দ্ধে ¶মতার অপব্যবহার, ঘুষ, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা গুলোর প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা সুশীল সমাজ ও সচেতন নাগরিকদের প¶ থেকে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শি¶া অফিসার আব্দুল মোমেন অত্র উপজেলায় বদলি হয়ে আসার পর থেকে তিনি ¶মতার অপব্যবহার, ঘুষ, দুর্নীতি এবং অন্যায় অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে খবর ইতিপূবে পত্র-পত্রিকাতেও প্রকাশ হয়। তাতেও কোন প্রতিকার হয়নি অজ্ঞাত কারণে। কারণে-অকারণে তিনি শি¶কদের ব্যাপক অর্থনৈতিক ও মানসিক হয়রানিও করে থাকেন। কারণ শি¶কেরা তাঁর বির“দ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না চাকুরী হারানোর ভয়ে। তাঁর হাত নাকি অনেক দূর পর্যন্ত ল¤^া। বিশেষ করে জেলা প্রাথমিক শি¶া অফিসার নাকি তার হাতের মুঠোয় বলে তিনি বলে বেড়ান। তিনি তাঁর গরমেই বেশী চলেন। এজন্য তিনি সুদুর রাজশাহী থেকে অফিস করে থাকেন অনিয়মিত। তার এ ধরনের কার্যকলাপ ইতিপূর্বেও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শি¶ক বলেন তিনি সপ্তাহে মাত্র তিন দিন রাজশাহী থেকে অফিস করে থাকেন। শি¶কেরা তাঁর নিকট ন্যায্য কথা বলতে গেলেই তিনি ¶েপে উঠে চাকুরী হারানের ভয় দেখান। তাই কোন শি¶ক তাঁর বির“দ্ধে অভিযোগ বা ¯^া¶ী দিতে সাহস পায়না। তার অপকর্মের প্রতিবাদি হওয়ায় ইতি পূর্বে উপজেলার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন শি¶ক চাকরী হারানোর আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছেন। তার ঘুষের দাবিকৃত ১০ (দশ) হাজার টাকা না পাওয়ায় কালুপাড়া বাঁশবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শি¶কের সার্ভিসবুক হালফিল না করে বকেয়া পাওনা সহ ইবি ক্রস পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছেন বলে ওই শি¶ক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উক্ত শি¶ক অভিযোগও করেছেন মহাপরিচারক বরাবর। তদন্তের পরও তিনি এখন পর্যন্ত কোন কাজ করেন নাই তাঁর সাথে আরও বেশী বিমাতৃসুলভ ব্যবহার করছেন এবং কারণে অকারণে তাকে হয়রানি করছেন। প্রত্যেকটি কাজেই তিনি শি¶কের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহন এবং হয়রানী করেন। শি¶কদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা তাঁর ব্যাংক হিসাব ন¤^রে জমা করে প্রত্যেকটি শি¶কের নিকট থেকে ২০০/=টাকা ঘুষ গ্রহন করে চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করেন। টাকা না দিলে একটা কাজের জন্য শি¶কদের ৫ থেকে ৬ দিন অফিসে ঘুরতে হয় বলে ভূক্তভোগীরা জানান। শি¶কদের কন্টিজেন্সি বিল তাঁর একাউন্টে নিয়ে দীর্ঘ হয়রানীর পর চেকের মাধ্যমে প্রদান করেন। যা পূর্বে শি¶কদের ¯^-¯^ একাউন্টে জমা হতো। তিনি সরকারি বিভিন্ন অর্থ উপজেলা শি¶া অফিসারের একাউন্ট থেকে নিজ ¯^ার্থে সরকারী চেক ভাঙ্গিয়ে উত্তোলন করেন। যা সুষ্ঠ তদš— করলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে জানা অভিযোগ রয়েছে। সমাপনী পরী¶ার ব্যয় বাবদ যে অর্থ আসে সেই অর্থ তিনি প্রথমে নিজ ¯^ার্থে ব্যবহার করেন । তারপর বহু হয়রানির পর তিনি সেই অর্থ শি¶কদের মাঝে নাম মাত্র বিতরন করে থাকেন। বিশেষ করে তিনি ১১ সালের খাতা মুল্যায়নের টাকা জুন মাসের দিকে বিতরন করেন । গত আড়াই বৎসরের বিভিন্ন পরী¶ার প্রশ্ন পত্র বিক্রির লভ্যাংশের প্রায় ১,৫০,০০০ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। এই অর্থ শি¶া অফিসারের ব্যাংক একাউন্টে গচ্ছিত থাকার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। রেজিঃ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করনের ল¶্যে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির আপ্যায়ন খরচ বাবদ কিছু শি¶ক নেতাকে হাত করে ১,৪২,০০০/=টাকা চাঁদা তুলে আতœসাত করেছেন তিনি। এ যাবত তার দ্বারা যত শি¶ক বদলি এবং বদলী সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সে সকল শি¶কের নিকট থেকে তাঁর নির্ধারিত ১৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন তিনি। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরের অত্র উপজেলায় ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় বাবদ ২০,০০০/=টাকা করে বরাদ্দ ছিল। যা ক্রয় কমিটি গঠন করে ক্রয় কারার নিদের্শনা ছিল। কিন্তু ক্রয় কমিটির চোখে ধুলা দিয়ে তিনি একাই ক্রয় করেছেন, যা তখন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়। তাঁর বির“দ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখির পরও সঠিক তদন্ত ও বিভাগীয় শা¯ি— না হওয়ায় তিনি বর্তমানে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি ¶মতার অপব্যবহার করে দুলিশ্বর সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শি¶িকাকে উপজেলা শি¶া অফিসে ডেপুটেশনে এনে বসায়ে রেখেছেন। উক্ত শি¶িকা অফিসের কোন কাজ জানেন না বা বোঝেনও না। অথচ অত্র অফিস তার ইর্তি পূর্বে মাত্র ২ জন ষ্টাপ দ্বারা বেশ সুন্দর ভাবে পরিচালিত হত। তিনি ২০১২ সালের আগষ্ট মাসের দিকে বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিশুদের ¶তি সাধন করে ডেপুটেশনে এনেছেন তাকে। শিশুদের পড়ালেখার যেন ব্যঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ৩১ শে মার্চের পর থেকে সকল ধরনের শি¶ক বদলী স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তিনি সে নির্দেশকেও অমান্য করেছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ২ বৎসর যাবত অত্র অফিস পূর্নস্টাপ কর্মরত আছেন। বহু শি¶কের নিকট থেকে জানা,গেছে, তিনি উক্ত শি¶িকার নিকট থেকে বদলীর নামে দীর্ঘদিন পূর্বে ২০হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেন। তার কাক্সিখত জায়গায় বদলী করতে না পারায় তিনি তাকে ডেপুটেশনে এনেছেন। পরবর্তিতে উক্ত শি¶িকাকে ২৫শে মার্চের দিকে শি¶কের পদ কেটে এনে বিনসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স¤প্রতি বদলী করেন। তিনি গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ কৃত টাকা ২০০০/= টাকার বিনিময়ে চেক হস্তান্তর করেন। প্রধান শি¶কদের এ সকল অর্থ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ব্যাংক একাউন্টে যাওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে তিনি নিজ একাউন্টে পার করে নিয়েছেন। এ যাবত কালও তিনি পাঁচটি বিদ্যালয়ের ¯িপ কমিটির টাকা প্রদান থেকে বিরত আছেন । এ পাঁচটি বিদ্যালয়ের ১ল¶ টাকা ও তিনি আতœসাত করেছেন বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়গুলো হল মনোহরপুর সরকারি প্রাধমিক বিদ্যালয়, মাদারজানি রেজিঃ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঞ্চনেশ্বর রেজিঃ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৫টি বিদ্যালয়। তিনি গত ১২ সালের জানুয়ারী-জুন মাসের পাঁচটি বিদ্যালয়ের প্রধান শি¶ককে এখন পর্যš— কন্টিজেন্সি বিল প্রদান করেন নাই। সর্বপরি আরো জানা গেছে, অত্র অফিসে টাকা ছাড়া তিনি কোন কাজ করেন না। এঅবস্থায় উপজেলায় সকল শি¶কের মধ্যে ¶োভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এ উপজেলার ৪ থেকে ৫ জন শি¶ককে হাত করে এ সকল অপকর্ম ঘটাচ্ছেন বলে অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও তার বির“দ্ধে পরী¶ার প্রশ্নপত্র তৈরী ও বিক্রিতেও রয়েছে হাজারো অভিযোগ। এ ঘটনা গুলোর প্রতিকার চেয়ে ও তার দৃষ্টাš— মূলক শা¯ি—র দাবি করে গত মাসে তাড়াশ উপজেলা সুশীল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প¶ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশি¶া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শি¶া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেছেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শি¶া অফিসার আব্দুল মোমেন কথা বলতে রাজি হননি।