বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের যে অভিযোগ করেছিল বিদ্রোহীদের মদতদাতা হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র তা বুমেরাও হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিদ্রোহীরাই সরকারি বাহিনীর ওপর রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।সিরিয়ার সহিংসতার শিকার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ দাবি করেছে জাতিসংঘ।জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারলা দেল পোন্তে বলেন, “আমাদের তদন্তকারী প্রতিবেশি দেশগুলোতে সহিংসতার শিকার, চিকিৎসক ও হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।” তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে আমি দেখেছে যে সারিন গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে শক্তিশালী, জোড়ালো সন্দেহ রয়েছে তবে অকাট্য প্রমাণ নেই।
জাতিসংঘের শীর্ষ তদন্ত কর্মকর্তা কারলা দেল পোন্তে সুইস টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, (রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের ব্যাপারে) শক্তিশালী, জোড়ালো সন্দেহ রয়েছে তবে এখনও অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তবে সরকারি বাহিনী রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে-এমন প্রমাণ পায়নি তার প্যানেল।
সাবেক এ সুইস এটর্নি জেনারেল সরকারি বাহিনীর রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। সরকারি বাহিনীরও রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরো তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মার্চে সিরিয়ার আলেপ্পো ও দামেস্কর কাছে এবং ডিসেম্বরে হোমসে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালানোর জন্য সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দাবি করে, তাদের কাছে প্রমাণ আছে সিরিয়ায় রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।২০১১ মার্চ থেকে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ও ১২ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।