বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনবে না ডিজনি ওয়াল্ট

0
140
Print Friendly, PDF & Email

 

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তর বিনোদন প্রতিষ্ঠানওয়াল্ট ডিজনি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেসাভারেরট্র্যাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা নামীদামি অন্যান্য কোম্পানিও ডিজনিরপদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছেএদিকে বাণিজ্যিক ব্যবস্থানেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)
গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজনিকর্তৃপক্ষের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিজনির ব্যবসায়িক অংশীদারেরা যেসব দেশথেকে তৈরি পোশাক কেনে, সেই তালিকা থেকে গত মার্চে বাংলাদেশের নামপ্রত্যাহার করা হয়
ডিজনির ঠিকাদারেরা মাত্র ১ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশেরবিভিন্ন কারখানা থেকে উত্পাদন করেযুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটিরস্যানফোর্ড স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহযোগী অধ্যাপক কোরি ক্রাপ বলেছেন, ‘বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এখন বিকল্প রাস্তাটি হলো বাংলাদেশ থেকে স্রেফব্যবসায় গুটিয়ে নেওয়াভিয়েতনাম কিংবা কম্বোডিয়ায় চলে যাওয়াতাই যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটি শিক্ষা লাভ করবে
তবে সাংসদ ও প্রভাবশালী পোশাককারখানার মালিক মোহাম্মদ ফজলুল আজিম বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোকে এ দেশ না ছাড়ারআহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এ দেশে বহু কারখানা রয়েছে, যেগুলোতে নিরাপত্তারমান নিশ্চিত করা হয়
বৃহস্পতিবার পশ্চিমা বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডেরকর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, তারা এ দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তাভাবনাকরছে নাবরং বিভিন্ন কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিনিয়োগেরপরিকল্পনা রয়েছে তাদেরকিছু কোম্পানি আবার বিভিন্ন কারখানার নিরাপত্তারপরিদর্শনে কড়াকড়ি আরোপ ও অনিরাপদ কারখানা ভবন সংস্কারে অর্থ দেওয়ারপ্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে
এদিকে ওয়াল-মার্ট স্টোর ইনশিউরেন্স (ডব্লিউএমটি) ও জেসি পেনি কোম্পানি (জেসিপি) গত সোমবার ফ্রাঙ্কফুর্টেবাংলাদেশের পোশাকশিল্প-সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের প্রতিনিধি পাঠায়ওইবৈঠকে বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়জার্মানির করপোরেশন সার্ভিস (জিআইজেড) এই আলোচনার আয়োজন করেবৈঠকে পোশাককারখানার নিরাপত্তার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানজানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
কানাডার লোবলোস কস (এল) জো ফ্রেশ এবংলন্ডনভিত্তিক প্রাইমার্ক ব্র্যান্ড সাভারে ধসে পড়া পোশাক কারখানায় তাদেরপণ্য উত্পাদন করছিলব্র্যান্ড দুটি বাংলাদেশে কারখানার নিরাপত্তাকর্মপরিবেশ উন্নয়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেপাশাপাশি ভবনধসের ঘটনায়ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারকে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে
ওয়াল-মার্টেরমুখপাত্র মেগান মুরফি বলেছেন, কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদারেবাংলাদেশের সরকার, শিল্পগোষ্ঠী ও পরিবেশকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে
এদিকেবাংলাদেশের পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিদিয়েছে ইইউইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন ও ট্রেডকমিশনার কারেল দা গুছ গত বুধবার এক যৌথ বিবৃতি এ হুঁশিয়ারি দেন
বিবৃতিতেবলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল সাভার ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা ও ভবনটি নির্মাণে অনিয়মেরবিষয়টি এখন সারা বিশ্বে স্পষ্ট হয়ে উঠেছেএতে আরও বলা হয়, ইইউ বাংলাদেশেরশ্রমিকদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শ্রম অবস্থা নিয়ে খুবইউদ্বিগ্ননিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান ও টরন্টো স্টার

 

শেয়ার করুন