‘আমার প্রতি তাঁরা প্রচণ্ড অবিচার করেছেন। আমন্ত্রণপত্রের কোথাও আমার নামউল্লেখ করেননি। এটা খুবই অপমানজনক। এভাবে অপমান না করে তাঁরা যদি আমার গালেচড় লাগাতেন, সেটাও অনেক ভালো ছিল।’ এভাবেই মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেদাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রীমালা সিনহা।
হিন্দি চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়গুণী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের। হিন্দি চলচ্চিত্র অঙ্গনের অন্যতমমর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটির জন্য এ বছর মনোনীত হয়েছিলেন ‘ধুল কা ফুল’খ্যাতনেপালি বংশোদ্ভূত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মালা সিনহা। কিন্তু দাদাসাহেব ফালকেপুরস্কার কমিটির আচরণে ব্যথিত হয়ে পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৭৬ বছরবয়সী এ অভিনেত্রী। জানিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।
এ প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধমালা সিনহার ভাষ্য, ‘এক মাস আগেই আমাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানোহয়েছিল। গত সপ্তাহে পুরস্কার কমিটির চেয়ারপারসনসহ কয়েকজন সদস্য আমার বাসায়এসেছিলেন। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়ে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতেপারছিলাম না। পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যদের নামের পাশে আমার নামটি ছিলনা। শুধু তা-ই নয়, আমন্ত্রণপত্রের কোথাও আমার নাম খুঁজে পাইনি আমি।’
মালাসিনহা আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে যার পর নাই মর্মাহত করেছে। একজন শিল্পীরজন্য এর চেয়ে অপমানজনক আর কী হতে পারে! আমি বলে বোঝাতে পারব না, বিষয়টিআমাকে কতটা বিচলিত করেছে।’
১৯৩৬ সালে নেপালে জন্মগ্রহণ করেন মালা সিনহা।৫০ থেকে ৭০ দশক পর্যন্ত বলিউডে রাজত্ব করেছেন এ অভিনেত্রী। হিন্দি ছবিরপাশাপাশি বাংলা ও নেপালি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ‘পিয়াসা’, ‘ধুল কা ফুল’, ‘দিল তেরা দিওয়ানা’, ‘গুমরাহ’, ‘আঁখে’, ‘শহরের ইতিকথা’, ‘লুকোচুরি’সহশতাধিক ছবিতে অভিনয়নৈপুণ্য দেখিয়েছেন গুণী এ শিল্পী।